সিটিজেন ডেস্ক: জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও তার পত্নীর দেয়া নৈশভোজ ছিল গতকাল বুধবার সন্ধ্যায়। এতে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। দেশটির রাজধানী টোকিওতে হোটেল নিউ ওতানিতে এই নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন জানান, ‘নৈশভোজের সময় আবদুল হামিদ জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ ছাড়া তিনি শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, স্লোভাকিয়ার প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।’নৈশভোজে রাষ্ট্রপতির পত্নী রাশিদা খানমও অংশ নেন।
রাষ্ট্রপতি গত রোববার টোকিও পৌঁছেন এবং হোটেল নিউ ওতানিতে অবস্থান করছেন। তিনি জাপান ও সিঙ্গাপুরে ৮ দিনের সফরে রয়েছেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাপানের নতুন সম্রাটের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। গত মঙ্গলবার বিকেলে টোকিওর রাজ প্রাসাদে ১৭৪টি দেশের ২ হাজার নেতা ও প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাপানের ১২৬তম সম্রাট হিসেবে তার অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়।
৫৯ বছর বয়সী সম্রাট নারুহিতো গত ১ মে সিংহাসনে আরোহণ করেন। রাষ্ট্রপতি গতকাল রাজ প্রাসাদে জাপানের নতুন সম্রাট নারুহিতো ও সম্রাজ্ঞী মাসাকো আয়োজিত ভোজসভায়ও যোগ দেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি জাপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী ইয়াকোহামা সফর করেন। সেখানে ইয়ামাসিতা পার্কের কাছে নোঙর করে রাখা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত জাহাজ ‘হিকাওয়া মারু’ পরিদর্শন করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রপতির পত্নী রাশিদা খানম এবং পুত্র রেজোয়ান আহমেদ তৌফিক এমপি। এ ছাড়া সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরাও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে ১৯৩০ সালে হিকাওয়া মারু যাত্রা শুরু করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাহাজটি ভাসমান হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যুদ্ধের সময় জাহাজটি ৩ বার মাইন আক্রান্ত হয়। কিন্তু ডুবে যাওয়া থেকে রেহাই পেয়ে যায়।
যুদ্ধের পর জাপানি সৈনিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে এই জাহাজ ব্যবহার করা হয়। ২৫৪ বার প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেয়া এ জাহাজটি বর্তমানে সর্ব-সাধারণের প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে।
সূত্র : বাসস