নিজস্ব প্রতিবেদক: তরুণ কর্মজীবীদের জন্য বিশেষ বাড়ি ‘মাইক্রোহোম’ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে মালয়েশিয়ান বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান গ্রিনল্যান্ড-তিতিজায়া।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সঙ্গে বৈঠকে গ্রিনল্যান্ড-তিতিজায়ার গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর তান শ্রী দাতো লিম সুন পেং-এর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ প্রস্তাব দেন।
মালয়েশিয়ান প্রতিনিধি দল ঢাকার আবাসন খাতে বিজনেস টু বিজনেস বা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় বিভিন্ন বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও আকর্ষণীয় নতুন ধারণা হচ্ছে তরুণ কর্মজীবীদের জন্য ‘মাইক্রোহোম’ তৈরির প্রস্তাব।
বৈঠকে প্রতিনিধি দল জানায়, মাইক্রোহোম হবে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা যেখানে অফিস সুবিধার পাশাপাশি একই স্থানে আবাসন, বিনোদনসহ জীবনধারণের সব ব্যবস্থা থাকবে। ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে অবিবাহিত ও ছোট একক পরিবারের জন্য ‘মাইক্রোহোম’ ধারণাটি অত্যন্ত সময়োপযোগী। ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে আবাসন খাতে ‘মাইক্রোহোম’ ধারণা বাস্তবায়ন হয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রতিনিধি দল বলেন, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশিরা সোনার প্লেটে বসে খাবার খাবেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মালয়েশিয়ান প্রতিনিধি দলের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সব সুযোগ-সুবিধা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিশ্চিত করছেন।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার ১২০টির অধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। মালয়েশিয়ান কোম্পানি চাইলে রাজউকের পূর্বাচল, ঝিলমিল এবং তুরাগ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারে। এ লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে।’
বৈঠকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব উম্মে সালমা তানজিয়া, রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক উজ্জ্বল মল্লিকসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।