কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করা হয়।
আরেক নাইকো মামলার আসামি নরেন দাস মন্ত্রীর নির্দেশে এখন বর্তমান আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব। আর এই নরেন দাসের নামে তেজগাঁও থানায় ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং দন্ডবিধি ১০৯ ধারায় ল্যাপটপ ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে একটি মামলা হয়, মামলা নাম্বার -২০।
ভুক্তভোগী মাসুদুর রহমান ঘরশড় জবংড়ঁৎপবং(নফ)খঞউ বিডি লিমিটেডে কর্মরত ছিলেন, এবং ওই কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট কাসিম শরীফ তাকে আইন মন্ত্রণালয়ের জনাব নরেন দাশকে একটি ল্যাপটপ কিনে দেওয়ার জন্য বলেন, তাকে একটি নাম্বার দিয়ে নরেন দাশ এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলে।
ওই নাম্বারটিতে মাসুদুর রহমান যোগাযোগ করলে, নরেন দাশের তাকে সচিবালয়ে গেটের সামনে এসে ল্যাপটপসহ ফোন করার জন্য বলেন।
মাসুদুর রহমান সচিবালয়ের গেলে তাকে ১৫/২০ মিনিট অপেক্ষা করিয়ে বের হয় এবং তার নিকট ল্যাপটপ স্থানান্তর করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন উক্ত ব্যাপারে মাসুদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে, মাসুদুর রহমান সকল ঘটনা খুলে বলেন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন নরেন দাশ এর কাছ থেকে উক্ত ল্যাপটপ জব্দ করেন।জব্দ করা পণ্যের পূর্ণ বিবরণ হলো Laptop,Model -NEC-VERSA
P/N:NN210013A2,CELERON Processor, Windows XP,Home Edition.
যদিও তিনি মামলা হতে অর্থ ও প্রভাব বিস্তার করে সুকৌশলে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছেন কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এখনো ল্যাপটপ জব্দ রয়েছে।