নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে লবণের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে তাই পুলিশ সদস্যদের দোকানে দোকানে গিয়ে তল্লাশি চালানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) মনিরুল ইসলাম ওয়ারলেসে পুলিশ সদস্যদের এই নির্দেশ দেন।
ডিএমপির একাধিক ওসি সিটিিজেন নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নির্দেশনা পেয়ে থানা এলাকার পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন দোকানে গিয়ে লবণের মজুতের খোঁজখবর নিচ্ছেন।
মুগদা এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা জানান, বিকেলে দোকানে দোকানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশি দামে লবণ বিক্রি করায় কয়েকজনকে আটক করে।
এ বিষয়ে মুগদা থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা সিটিজেন নিউজকে বলেন, লবণ নিয়ে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রচারণা চালাচ্ছি। এছাড়াও কেউ অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রি করছে কি না- সে বিষয়ে নজর রাখছি।
সূত্র জানায়, ধানমন্ডি ও হাজারীবাগে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করলেও বিষয়টি এখনও স্বীকার করেনি পুলিশ।
ধানমন্ডি থানা পুলিশ জানায়, ঊর্ধ্বতনের নির্দেশ পেয়ে ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ এলাকার সুপারশপ এবং দোকানগুলোতে লবণের খোঁজে পুলিশ যায়। গিয়ে দেখে অনেক দোকানে লবণ শেষ। কী কারণে তাদের লবণ নেই, চালানের সঙ্গে মজুতের পরিমাণ দেখা হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ দোকানে গিয়ে লবণ পাওয়া যায়নি।
এ দিকে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুরান ঢাকার নয়াবাজারে অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন। অভিযানের শুরুতে তিনি বাজারের পাইকারি দোকানগুলোতে লবণের মজুত নজরদারি করছেন। ব্যবসায়ীদের কাছে লবণের দাম বৃদ্ধি ও সংকটের কারণ জানতে চাইছেন।
অভিযানের ফলাফলের বিষয়ে পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
এ দিকে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার বাজার ও খুচরা দোকানে লবণের সংকট দেখা গেছে। অনেকে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ দামে লবণ কিনেছেন বলে দাবি করেন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টনের বেশি ভোজ্য লবণ মজুত রয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের লবণ চাষিদের কাছে চার লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন এবং বিভিন্ন লবণ মিলের গুদামে দুই লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুত রয়েছে। তারপরও একটি স্বার্থান্বেষী মহল লবণের সংকট রয়েছে মর্মে গুজব রটনা করে অধিক মুনাফা লাভের আশায় অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
এ ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।