নিজস্ব প্রতিবেদক:‘মন্ট্রিল প্রটোকলের কিগালি সংশোধনী’ অনুস্বাক্ষরের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ অনুমোদনের কথা জানান।
তিনি বলেন, ওজোনস্তর রক্ষায় ১৯৯৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ‘মন্ট্রিল প্রটোকল অন সাবট্যান্সসেস দ্যাট ডিপ্লেট দ্য ওজোন লেয়ার’ গ্রহণ করা হয়, যা মন্ট্রিল প্রটোকল নামে খ্যাত। বর্তমানে পৃথিবীর সব দেশ মন্ট্রিল প্রটোকল অনুস্বাক্ষর করায় এটি আজ ইউনিভার্সল রেটিফাইড প্রটোকলের মর্যাদা লাভ করেছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর রুয়ান্ডার কিগালিতে মন্ট্রিল প্রটোকলের ২৮তম পার্টি সভায় শক্তিশালী গ্রিন হাউজ গ্যাস-হাইড্রোফ্লোরোকার্বনের ব্যবহার পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনতে মন্ট্রিল প্রটোকল সংশোধিত হয়। সংশোধনীটি বাস্তবায়িত হলে এই শতাব্দীর শেষে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রায় ০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড কমানো সম্ভব হবে। ফলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ২০১৫ সালে গৃহীত প্যারিস চুক্তির প্রায় ২৫ শতাংশ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।’
কিগালি সংশোধনী চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ার বলেন, ‘গত ২২ আগস্ট পর্যন্ত বিশ্বের ৮৯ দেশ সংশোধনীটি অনুস্বাক্ষর করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলংকা ও মালদ্বীপ অনুস্বাক্ষর করেছে। অন্য দেশগুলো অনুস্বাক্ষর প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।’
মন্ট্রিল প্রটোকলের কিগালি সংশোধনী বাস্তবায়িত হলে জলবায়ু বান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি প্রসার ঘটবে। ফলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমবে যা প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।