শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::

চবির ৪ হলে তল্লাশি, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৯
  • ২৫৬ বার পঠিত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর ৪টি আবাসিক হলে অভিযান চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পুলিশের সহায়তায় শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে। অভিযান শেষে ৪ বস্তা পাথর, বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র ও জিআই পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার রাত ৯টার দিকে অভিযান পরবর্তী সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা জানান চট্টগ্রাম জেলা (উত্তর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা।

তিনি বলেন, গতকালের সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে শাহ আমানত, শাহজালাল, সোহরাওয়ার্দী ও শহীদ আবদুর রব হলে তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু অস্ত্র, রামদা, ৩-৪ বস্তা পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মনিরুল হাসান বলেন, সন্দেহের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি হলে অভিযান চালানো হয়েছে। এতে কিছু লাঠিসোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র পাওয়া গেছে। রুমে কেউ না থাকায় কাউকে আটক করা যায়নি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে শহীদ আবদুর রব হলের আবাসিক হলের টেলিভিশন কক্ষে সভা করা নিয়ে শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষ ভিএক্স ও সিএফসির মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে ওই রাতেই উভয় পক্ষের সিনিয়ির নেতাদের উপস্থিতিতে ঘটনার তাৎক্ষণিক সমাধান করে দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু এ ঘটনার জেরে শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে আবাসিক হলটিতে ফের সংঘর্ষে জড়ায় উভয় পক্ষ।

বিবাদমান পক্ষ দুটি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী উপগ্রুপ ‘চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি)’ ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দফতর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুলের অনুসারী ‘ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স)’। এর মধ্যে রুবেল আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী এবং বিপুল নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবসে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের এই দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে নিহত হয়েছিলেন সিএফসি কর্মী ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তাপস সরকার।

এদিকে সংঘাতের জন্য পাল্টাপাল্টি দায়ী করছে ছাত্রলীগের পক্ষ দুটি। সিএফসি উপগ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল জাগো নিউজকে বলেন, সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ছাত্রলীগ কর্মী তাপস সরকার হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি তুলতে শহীদ তাপস স্মৃতি সংসদ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাপসের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঘটনার বিচারের দাবিতে তার বন্ধু-সহপাঠীরা সক্রিয় হয়েছেন। কিন্তু বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না তাপসের হত্যাকারী এবং সে সময় হত্যাকারীদের প্রশ্রয় দেয়া একটি চক্র। তাই বিনা উস্কানিতে ছাত্রলীগের মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করে বিভক্তি আনতে ও বিচারের দাবিকে বাধাগ্রস্ত করতে চক্রটি এই সংঘর্ষ বাধিয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ডাকলেও কোনো সাড়া দিচ্ছে না তারা।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন ভিএক্স পক্ষের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দফতর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুল। তিনি বলেন, আমরা যখন ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন দাবি তুলে সাংগঠনিক ফরমেটে কাজ শুরু করেছি, ঠিক তখনই এ সংঘাত বাধিয়েছে সভাপতি। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা সমাধানের পরও শুক্রবার রাতে শহীদ আব্দুর রব হলে থাকা আমাদের নেতাকর্মীদের কক্ষের দরজা ভেঙে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়েছে। তাই ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারসহ এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনো সমাধান না আসে, তবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সভাপতি রুবেলকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

আজ থেকে স্কুলে ভর্তি আবেদন শুরু, নেই মুক্তিযোদ্ধার নাতি কোটা সিটিজেন প্রতিবেদকঃ সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) থেকে বেলা ১১টা থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এই প্রক্রিয়া চলবে ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আবেদন শেষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই ও ভর্তি করানো হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী—এবার ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটকের মাধ্যমে এ ফি পরিশোধ করতে হবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর বয়স জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৬ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে। যেমন—২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে। অর্থাৎ সর্বনিম্ন জন্মতারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ, জন্মতারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত। পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্ম-নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে। সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুল পছন্দক্রম দেওয়া যাবে অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ের নাম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম (দুটি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পাদন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি কোনো স্কুলেই একটি শ্রেণির কোনো শাখাতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। বিদ্যমান অনলাইন ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যেকোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি সফটওয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ক্যাচমেন্ট এরিয়া ঢাকা মহানগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবেন। ক্যাচমেন্ট এরিয়া থেকে শূন্য আসনের ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী নেওয়া হবে। ক্যাচমেন্ট এরিয়ার এ কোটা সুবিধা পেতে অনলাইনে আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্বাচন করতে হবে। ডিজিটাল লটারি ও ফল প্রকাশ আবেদন প্রক্রিয়া শেষে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লটারির ফল প্রকাশ করা হবে। মাউশির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—আনুষ্ঠানিকভাবে লটারির সম্ভাব্য দিন ঠিক করা হয়েছে ১০ ডিসেম্বর। এরপর ১২ ডিসেম্বর লটারির কার্যক্রম শেষে ফল প্রকাশ করা হতে পারে। তবে বিশেষ কারণে এ তারিখে পরিবর্তন আসতে পারে। মেধা-অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ ও চূড়ান্ত ভর্তি ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশের পর ১৭ ডিসেম্বর শুরু হবে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম, যা চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু হবে ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকার ভর্তি চলবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভর্তির ফি ও অন্যান্য খরচ দেশের মফস্বল এলাকার স্কুলে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে ৫০০ টাকার বেশি হবে না। উপজেলা ও পৌর এলাকায় ১ হাজার টাকা, মহানগর এলাকায় (ঢাকা বাদে) সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে রাজধানীর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নিতে পারবে ৫ হাজার টাকা। আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ফি নিতে পারবে ৮ হাজার টাকা। তবে ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা। তাছাড়া রাজধানীর প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। একই প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতি বছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে। তবে পুনর্ভর্তি ফি নেওয়া যাবে না। সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে ৬৮ শতাংশই কোটা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪০ শতাংশই ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা। তাছাড়া বীর ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দপ্তর-সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ১০ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ২ শতাংশ, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর যমজ ও সহোদর ভাই-বোনরা ৫ শতাংশ কোটায় সংরক্ষিত আসনে ভর্তির সুযোগ পাবেন। তবে এবার কোটা পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতদিন মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার নিয়ম ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার জন্যই কেবল ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এ কোটায় শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে মেধাতালিকা থেকে এ আসনে ভর্তি করতে হবে। জানা যায়, প্রতি বছর কয়েক লাখ শিক্ষার্থী লটারিতে অংশ নিয়ে স্কুলে ভর্তি হয়ে থাকে। সন্তানকে ভালো স্কুলে ভর্তির জন্য চেষ্টা করেন সব অভিভাবক। এ নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তারা। এবার তারা লটারি পদ্ধতি বাদ দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। সময় স্বল্পতার কারণে অভিভাবকদের দাবি এবার বিবেচনায় নেওয়া সম্ভব না হলেও আগামীতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com