অনলাইন ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি তার বাণিতে বলেছেন, ‘বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব ও মানুষের অপরিকল্পিত ব্যবহারের কারণে বিশ্বব্যাপী পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতিবৃষ্টি, খরা, ঝড়-ঝঞ্ঝা অন্যদিকে বন উজাড়, এ দুইয়ের প্রভাবে পার্বত্য এলাকায় প্রকৃতির ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী তরুণ সমাজকে পার্বত্য অঞ্চলগুলোর পরিবেশ রক্ষায় সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেয়া একান্ত জরুরি।
আজ ১১ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘মাউন্টেইয়স মেটার অব ইয়োথ’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তি চুক্তি করেছি। এই চুক্তি এ অঞ্চলে শান্তি স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে পর্বতারোহীদের সংগঠনগুলো। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় দিবসটি পালনের জন্য বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে আজ বেলা ১১টায় মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং।
পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও টেকসই ভবিষ্যতকে সামনে রেখে জাতিসংঘ ২০০৩ সালে ১১ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন দেশে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে।