নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড় দিনে ফ্লাইওভার, রাস্তা ও উন্মুক্ত জায়গায় গান-বাজনা করা যাবে না। এছাড়া আগামী ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত উন্মুক্ত জায়গায় গান-বাজনা না করার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এসব বিষয়ে বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সে বিষয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বড় দিন উদযাপন করতে সারা দেশের ৩ হাজার পাঁচ শ’ চার্চে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকও দায়িত্ব পালন করবে। তেজগাঁও, বনানী ও কাকরাইলে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে।
তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিডেকটিভ উপকরণ ব্যবহার করা হবে। কন্ট্রোল রুম পুলিশের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগায়োগ করবে। ২৪ ডিম্বের রাত থেকে এ বিশেষ নিরাপত্তা শুরু হবে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, নবাবগঞ্জ, কালিগঞ্জ, ময়মনসিংহ এবং দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে যেখানে খ্রিস্টান সম্প্রাদায়ের বসবাস এবং রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা বারধারা ও গুলশানে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। এসব জায়গায় নিরাপত্তায় ফায়ার ফাইটিং টিম কাজ করবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত উন্মুক্ত জায়গায় কোনও গান-বাজনা করা যাবে না। ৩০ ডিসেম্বর রাত থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সব বার বন্ধ থাকবে। এছাড়া সকল ধরনের বৈধ অস্ত্র বহনও নিষিদ্ধ।
মাদকের বিরুদ্ধে এ সময় ব্যাপক অভিযান চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, আতশবাজি ও পটকা ফোটানোও বন্ধ থাকবে। ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্টিকারবিহীন যানবাহন ছাড়া সকল যানবাহন চলাচল সীমিত করা হয়েছে। কূটনীতিক এলাকাও এ নির্দেশনার আওতায় থাকবে।