নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর সবুজবাগে মাদারটেকের একটি বাসায় হামিদা আক্তার লাবনী (২২) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় লাবনীর স্বামী পলাশ ও তার বন্ধু সুজিত পলাতক রয়েছেন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১১টার দিকে মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে লাবনীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
লাবনীর বড় বোন লাইলী আক্তার জানান, লাবনী পলাশের দ্বিতীয় স্ত্রী। ১০ বছর আগে লাবনীর সাথে পলাশের প্রেমের সম্পর্ক হলে আগের স্ত্রীকে তালাক দেয়ার কথা বলে ৬ বছর আগে লাবনীকে বিয়ে করে। তাদের ঘরে একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। কিন্তু পলাশ আগের স্ত্রীকে তালাক দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। তবে লাবনীর সাথে তাদের তেমন যোগাযোগ ছিল না।
লাইলী আরও জানান, বাবা-মার বাসার পাশেই থাকত লাবনী। মেয়ে আরোহীর কাছ থেকে জানতে পারেন, গতরাতে পলাশ তার বন্ধু সুজিতকে নিয়ে বাসায় আসে এবং লাবনীর সাথে ঝগড়া করে। এক পর্যায়ে লাবনীকে বালিশ চাপা দেয়। পরে নিজেরাই মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক লাবনীকে মৃত ঘোষণা করেন।
সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. লিটন মিয়া জানান, পূর্ব মাদারটেক আ. আজিজ স্কুলের পেছনে একটি চারতলা বাসার নিচতলায় স্বামী পলাশ ও পাঁচ বছরের মেয়ে আরোহীকে নিয়ে তারা থাকতেন। সোমবার রাত ৮টার দিকে পলাশ ও তার বন্ধু সুজিত লাবনীকে বালিশ চাপা দেয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাবনীর মরদেহ হাসপাতালে রেখেই তারা দু’জন পালিয়ে গেছে। তাদেরকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।