জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: বাংলাদেশিদের জন্য যুক্তরাজ্যের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ, আধুনিক ও উন্নত করতে কার্ড ও অনলাইন পেমেন্ট বা ট্রানজেকশন সুবিধার সংযোজন করার ঘোষণা দিয়েছে ইউকে ভিসা ও ইমিগ্রেশন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের ঢাকা হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে যুক্তরাজ্যের ভিসা আবেদনের জন্য শুধু নগদ অর্থ বা ক্যাশ জমা দেয়ার সুযোগ ছিল। মঙ্গলবার থেকে চালু হওয়া কার্ড ও অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা ইউকে ভিসা আবেদনে আগের প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করেছে ও পেমেন্ট করার জন্য গ্রাহকদের বিকল্প সুযোগ দিচ্ছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, ‘ইউকে ভিসা প্রক্রিয়া বাংলাদেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেই বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকার অবগত। এ কারণেই আমরা ইউকে ভিসা প্রক্রিয়াকে যতটা সম্ভব দক্ষ ও উন্নত করে তুলছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘোষণাটি সেই লক্ষ্য অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আমাদের ভিসা সার্ভিসে আধুনিক ডিজিটাল পেমেন্ট প্রক্রিয়া সংযোজন অর্থ আদান-প্রদানকে আরও নিরাপদ ও সুরক্ষিত করে গ্রাহকদের স্বস্তি দেবে।’
এদিকে নতুন এ সুবিধা ইউকে ভিসা ও ইমিগ্রেশনের বাণিজ্যিক পার্টনার ভিএফএস ৬ মাসের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চালু করছে। এই সময়ে ভিসা আবেদনকারীরা চাইলে নগদ অর্থ বা ক্যাশ টাকার মাধ্যমেও পেমেন্ট করতে পারবেন।
কার্ড ও অনলাইন পেমেন্ট সুবিধার সংযোজন সম্পর্কে পরিকল্পনার বিস্তার ঘটাতে যুক্তরাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বাংলাদেশিদের মতামত জানতে আগ্রহী।
যুক্তরাজ্য হাইকমিশন জানায়, গত বছর প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি প্রায় সকল ক্যাটাগরিতে ইউকে ভিসা পেয়েছে। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে বাংলাদেশিদের ইউকে ভিসা পাওয়া বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ২৬ ভাগ। এছাড়া প্রায় ৮৫ ভাগ বাংলাদেশি আবেদনকারী ১৫ কর্মদিবস বা তার চেয়ে কম সময়ে ইউকে ভিসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানতে পারছে।
যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের ও শিক্ষার উদ্দেশে ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশি ইউকে ভিসা আবেদনকারীদের আরও আত্মবিশ্বাস ও উৎসাহ জোগাতেই ভিসা আবেদনে কার্ড ও অনলাইন পেমেন্ট সুবিধার সংযোজন করা হয়েছে বলে জানানো হয়।