নিজস্ব প্রতিবেদক: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় ভুলভ্রান্তি থাকলে সংশোধন করে তালিকা প্রকাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়টা আমাদের নজরে এসেছে এবং নেত্রীও জানেন। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে নেত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ভুল সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছে। নেত্রীও তাদের যাচাই-বাছাই করে ভুলভ্রান্তি থাকলে সংশোধন করে তালিকা প্রকাশের নির্দেশনা দিয়েছেন। কাজেই বিষয়টি নিয়ে যেহেতু মন্ত্রণালয় দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং যাচাই-বাছাইয়ের অঙ্গীকার করেছে এ নিয়ে আর প্রশ্ন থাকার কথা নয়।
এ সময় সম্মেলনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতাদের চরিত্র হনন না করার নির্দেশনা দেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটা পরিবার, এই পরিবারে আমরা অনেকেই আছি, নেতা আছি কর্মী আছি। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে গোটা পরিবার ঐক্যবদ্ধ। সেটা আমাদের কর্মকাণ্ডে আচার-আচরণে প্রমাণ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ করব, কেউ কারও অতিউৎসাহী ভক্ত হবেন না। আপনারা অতি উৎসাহী ভক্ত সেজে বিলবোর্ডে নানা রকম ছবি প্রদর্শন করেন। নিজেকে প্রচারের জন্য অন্যের ছবি ব্যবহার করেন, এতে কিন্তু শৃঙ্খলা নষ্ট হয়।
‘কার দায়িত্ব কোথায় হবে- এটা ঠিক করার জন্য, নির্ধারণ করার জন্য একজন আছেন। আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউই অপরিহার্য নয়। যে যেখানে আছেন, যে কেউ পরিবর্তন হতে পারেন। এটা নেত্রী ঠিক করবেন- কাকে কোথায় রাখবেন। নেত্রীর প্রতি আস্থা আমাদের আছে।
তিনি বলেন, কারও অতি উৎসাহী ভক্ত হয়ে কারও বিরুদ্ধে অপপ্রচার, ফেসবুকে অপপ্রচার- এ বিষয়গুলো সম্মেলন এলে হয়। এগুলো কাকে দেখাতে চান। কে কি নেত্রী ভালো করেই জানেন। সম্মেলনের সময় ফেসবুকে কারও চরিত্র হনন করা, এটা একটা নোংরা কাজ। এই নোংরা কাজ যারা করছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে, বিরত রাখতে হবে।
দলে অসুস্থ প্রতিযোগিতা না করার পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে, প্রতিযোগিতা থাকতে পারে। এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা। প্রত্যেকেরই আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে, কিন্তু এটা যেন অসুস্থ প্রতিযোগিতায় পরিণত না হয়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ।