জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিজিবি এবং বিএসএফ এর মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে এ সম্মলনে হবে।আগামীকাল মঙ্গলবার বিজিবির সদর দপ্তর থেকে আরো জানানো হয়, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করবেন।
অপরদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী ভিভেক জোহরীর নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দপ্তরের কর্মকর্তা, ফ্রন্টিয়ার আইজি এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্রতিনিধিত্ব করবেন। একই সঙ্গে সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে উভয়দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরো সুসংহত করতে বিজিবি পরিচালিত সীমান্ত পরিবারকল্যাণ সমিতির সভানেত্রী সোমা ইসলামের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল ভারতে সফর করবেন।
প্রথমদিনে নয়াদিল্লির বিএসএফের চাওলা ক্যাম্পে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু হবে। সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো ও আহত/হত্যা করা সম্পর্কে প্রতিবাদ জানানো এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধে করণীয়। ভারত হতে বাংলাদেশে ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, হেরোইনসহ বিভিন্ন অবৈধ মাদকদ্রব্যের চোরাচালান রোধ। এছাড়া ভারতের অভ্যন্তরে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য, মাদকদ্রব্যের কারখানা, গুদাম এবং মাদকের চোরাচালান রোধ, মাদক পাচারকারীদের সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়। ভারত থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান রোধ। বিএসএফ এবং ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক সীমানা লঙ্ঘন ও অবৈধ পারাপার-অনুপ্রবেশ রোধ। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য ‘কার্যকর সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন।
সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে আগামী ২৭ ডিসেম্বর চাওলা ক্যাম্প স্টেডিয়ামে বিজিবি ও বিএসএফ ভলিবল দলের মধ্যে ‘মৈত্রী কাপ টুর্নামেন্ট(ভলিবল)’ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর সীমান্ত সম্মেলনের ‘যৌথ আলোচনার দলিল’ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে।