নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রার্থনা ও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব-বড়দিন। বুধবার সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের গির্জায় গির্জায় শুরু হয় বড়দিনের উৎসব।
সকাল থেকেই রাজধানীর তেজগাঁওয়ের হলি রোজারিও চার্চে ভিড় জমিয়েছেন যীশু খ্রিষ্টের অনুসারী নানা বয়সের মানুষ। এসময় নিউ টেস্টামেন্ট থেকে শ্লোক আর গসপেল থেকে সুসমাচার আবৃত্তি করে তারা মানবজাতির প্রতি যীশুর ব্রত, ত্যাগ ও শিক্ষা স্মরণ করেন।
চার্চের পালক ফাদার সুব্রত অগাস্টিন জানান, মহান যীশু মানবের মুক্তির জন্য এসেছিলেন। বড়দিনে তার সেই বাণী উচ্চারিত হচ্ছে প্রতিটি চার্চে। স্মরণ করা হচ্ছে মানুষের জন্য করা তার মহান ত্যাগের বাণী।
যীশুখ্রিষ্টের জন্মদিনে হলি রোজারিও চার্চে এসেছেন খ্রিস্ট্রান শিক্ষার্থী উইলিয়াম। তিনি বলেন, ‘যিশুখ্রিস্ট্র আমাদের পাপের ক্ষমা করতেই পৃথিবীতে আর্বিভূত হয়েছিলেন। ২৫ ডিসেম্বর তার জন্মদিন। এ দিনটি আমাদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র দিন। তাই এ দিন যিশু খ্রিস্ট্রের প্রশংসা, সংগীত, বাইবেল পাঠ ও প্রার্থনা করে আমার তার অশীর্বাদ পেতে চেষ্টা করব।’
হলি রোজারিও চার্চের মতো রাজধানীর প্রতিটি গির্জায় প্রার্থনা শেষে বাড়িতে বাড়িতে চলছে উৎসব। বড়দিনের কেক কাটা ও ক্রিসমাস ট্রিতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। গির্জাগুলোতে গোশালায় জন্ম নেওয়া যিশুর জন্মদিনের ক্ষণটিকে প্রতীকীভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বুধবার বড়দিন হলেও আগের রাত থেকেই উৎসবে মেতে উঠেছেন খ্রিস্টান ধর্মাবম্বীরা। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বিভিন্ন গির্জা ও উপাসনালয়ে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বড় দিনের উদযাপন। সেখানে মঙ্গলবাণী পাঠের মাধ্যমে নিজের পরিশুদ্ধি এবং জগতের সব মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করা হয়।
বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। এসব অনুষ্ঠানে সান্তাক্লজ শিশুদের নানা ধরণের উপহার দিচ্ছেন।
খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, স্রষ্টার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য যিশুখ্রিস্ট অর্থাৎ ঈসা আ. জন্ম নিয়েছিলেন। আজ সরকারি ছুটির দিন।