অনলাইন ডেস্ক: মার্কিন হামলায় ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যাকে ‘বর্বরোচিত এবং জঘন্য অপরাধ’ বলে অভিহিত করে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত দেশটির দূতাবাস।
রোববার এক বিবৃতিতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের জেনে রাখা উচিত যে, গুণ্ডামি ও সীমালঙ্ঘনের যুগ শেষ হয়ে গেছে এবং যারা জেনারেল সোলাইমানির মতো স্বাধীনচেতা ব্যক্তি ও অন্য শহীদদের রক্তে নিজেদের হাত রঞ্জিত করেছে, তাদের জন্য কঠিন প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।
বিবৃতির সাথে মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার পর তার ছবি নিয়ে দেশটির জনগণের বিক্ষোভ প্রকাশের একটি ছবিও প্রকাশ হয় দূতাবাসের ওয়েবসাইটে।
দূতাবাসের বিবৃতিতে কোরআনের দু’টি আয়াত উল্লেখ করে বলা হয়, ‘ইরানের ঢাকাস্থ দূতাবাস ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত ইরানের দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশনগুলোতে ইসলামের জন্য নিবেদিতপ্রাণ, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের নির্মূল অভিযানের অক্লান্ত সৈনিক, ইসলামের বীর সেপাহসালার শহীদ জেনারেল কাসেম সোলাইমানির বীরত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমাদের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। জেনারেল সোলাইমানি শুধু ইরানি জনগণের নয়, বরং তিনি বিশ্বের সকল মুসলমান এবং নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের মর্যাদা ও গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। মার্কিনিরা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ও সংঘাতের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে দিতে অত্যন্ত বর্বরোচিত হামলার মাধ্যমে ইরানের কুদস ব্রিগেডের এই স্বনামধন্য কমান্ডারকে শহীদ করেছে। তারা এই জঘন্য অপরাধের মাধ্যমে ইরাকের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে, আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি পদদলিত করেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিনষ্ট করতে চেয়েছে। তবে এই জঘন্য অপরাধের নির্বোধ হোতারা যেন মনে রাখে যে, তারা তাদের অপরাধের দাঁতভাঙ্গা জবাব পাবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জেনারেল সোলেইমানির শাহাদাতের ঘটনা আবারও এ কথা প্রমাণ করল যে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের স্বাধীনচেতা জাতিগুলোর কাছে সর্বাধিক ঘৃণ্য রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের জেনে রাখা উচিত যে, গুণ্ডামি ও সীমালঙ্ঘনের যুগ শেষ হয়ে গেছে এবং যারা জেনারেল সোলাইমানির মতো স্বাধীনচেতা ব্যক্তি ও অন্য শহীদদের রক্তে নিজেদের হাত রঞ্জিত করেছে, তাদের জন্য কঠিন প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।’
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ভোরে ইরাকে রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোলাইমানি ও ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী আল-শাবির উপ-প্রধান আবু মাহদি আল মুহান্দিসের বহরে হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। এতে তারা দু’জনসহ ৮ জন প্রাণ হারান।