শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

রোজার শুরুতে বাজারে নতুন করে বাড়েনি পণ্যের দাম

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১০ মে, ২০১৯
  • ৩৩৫ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: রোজার শুরুতে বাজারে নতুন করে কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি। তবে রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, সবজি, মাছ, মাংসের দাম নতুন করে না বাড়লেও আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও এলাকার বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
রামপুরা ও খিলগাঁও এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা আগের সপ্তাহের মতো বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০-১৫৫ টাকায়। লাল লেয়ার মুরগির ১৮০-১৯০ এবং পাকিস্তানি কক প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকায়। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি।

মুরগির দামের বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী খায়রুল হোসেন বলেন, রোজার আগে মুরগির দাম কিছুটা কমেছিল। আমাদের ধারণা ছিল রোজা শুরু হলে মুরগির দাম আরও কমবে। তবে রোজার শুরুতে মুরগির দাম নতুন করে কমেনি। সামনে হয়তো মুরগির দাম কিছুটা কমতে পারে।

রামপুরার গরুর মাংস ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে আমরা গরুর মাংস ৫৩০-৫৫০ টাকায কেজি বিক্রি করেছি। এখন সিটি কর্পোরেশন থেকে বেঁধে দেয়া দামে অর্থাৎ ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। এর থেকে বেশি দাম নিচ্ছি না, আবার কম নিচ্ছি না।

মাংসের মতো সপ্তাহের ব্যবধানে দাম স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের। শুধু ডিম বিক্রি করেন এমন ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো ডিমের ডজন বিক্রি করছেন ৮০- ৮৫ টাকায়। মুদি দোকান ও খুচরা বিক্রেতারা প্রতি পিস ডিম বিক্রি করছেন ৭-৮ টাকায়।

হাজীপাড়ার ডিম ব্যবসায়ী সাবু মিয়া বলেন, রোজার আগে টানা দুই সপ্তাহে ডিমের দাম ডজনে ২০ টাকা কমে। গত এক সপ্তাহে ডিমের দাম নতুন করে কমেনি, আবার বাড়েওনি। তবে আমাদের ধারণা সামনে হয়তো ডিমের দাম কিছুটা কমতে পারে।

ডিমের পাশাপাশি দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের। কারওয়ানবাজারে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো ভালোমানের দেশি পেঁয়াজের পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি করছেন ১২৫-১৩০ টাকা। আর খুচরা বাজারে ভালোমানের দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। আর কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা। তবে বেড়েছে রসুনের দাম। গত সপ্তাহে রসুন ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে তা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া বলেন, রোজার আগে দাম কিছুটা বাড়লেও গত এক সপ্তাহে নতুন করে পেঁয়াজের দাম বাড়েনি। এবার রোজায় পেঁয়াজের দাম বাড়ার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। তবে ঈদের পর হয়তো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়তে পারে।

এদিকে বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বাজার ও মানভেদে কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা কেজি। শসা ৫০-৬০, বেগুন ৬০-৭০, পাকা টমেটো ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম অপরিবর্তিত থাকা অন্য সবজির মধ্যে পটল ৪০-৫০, বরবটি ৬০-৭০, কচুর লতি ৭০-৮০, করলা ৬০-৭০, ধুন্দুল ৬০-৭০, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

চড়া দামের বাজারে সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কচুর মুখি। বাজার ভেদে কচুর মুখি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকা। এছাড়া কাকরোল ৬০-৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০-৭০, উসি ৪০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী আলামিন বলেন, প্রতিবছরই এপ্রিল-মে মাসে সবজির দাম বেশি থাকে। গত বছরের তথ্য ঘেঁটে দেখেন এ সময় কোনো সবজি দাম ৫০ টাকার নিচে ছিল না। সুতরাং রোজার কারণে এবার সবজির দাম বেশি, কেউ যদি এমন অভিযোগ করে তা সঠিক নয়। সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। বাজারে নতুন সবজি আসলে আবার দাম কমে যাবে।

সবজির পাশাপাশি অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দামও। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি। পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা কেজি। রুই ২৮০-৬০০, পাবদা ৬০০-৭০০, টেংরা ৫০০-৮০০, শিং ৫০০-৬০০ এবং চিতল বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকা কেজি।

মাছের দামের বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী সুবল বলেন, কয়েক মাস ধরেই মাছের দাম চড়া। এবার মাছের দাম সহসা কমার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। কারণ এবার বৃষ্টি খুব একটা হয়নি। যদি বৃষ্টি অথবা বন্যা হয় তাহলে হয়তো মাছের দাম কিছুটা কমতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com