আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত আট বছরের মধ্যে প্রথমবার জুমার নামাজের ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। আজ শুক্রবার রাজধানী তেহরানের মোসাল্লা মসজিদে তিনি নামাজ পড়ালেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা মেহর।
৮ জানুয়ারি ভুল করে ইউক্রেন এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এতে ওই বিমানের ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত হয়। এদের অধিকাংশই ছিল ইরানের নাগরিক। প্রথমে হামলার কথা অস্বীকার করলেও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তিন দিন পর বিষয়টি স্বীকার করতে বাধ্য হয় ইরান। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে ইরানি জনগণ। টানা কয়েক দিন রাজধানী তেহরানসহ বেশ কয়েকটি শহরে চলে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। বুধবার প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিতে বাধ্য হন। তিনি হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচারেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ইরানি বার্তা সংস্থা মেহর জানিয়েছে, আয়াতুল্লাহ খামেনি শুক্রবার তেহরানের মোসাল্লা মসজিদে জুমার নামাজের ইমামতি করবেন। তবে বিমান বিধ্বস্তে বিক্ষোভের ঘটনার সঙ্গে খামেনির এই নামাজ পড়ানোকে সংশ্লিষ্ট করেনি সংস্থাটি।
অবশ্য এ ব্যাপারে ইরানি কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘ইরানি জাতি আবারও তাদের একতা ও মহত্ব প্রদর্শন করবে’।
সর্বশেষ ২০১২ সালে ইরানের ৩৩তম প্রজাতন্ত্র দিবসে জুমার নামাজের ইমাম হয়েছিলেন খামেনি।
দ্য ওয়াশিংটন ইনিস্টিটিউট ফর নেয়ার ইস্ট পলিসির মেহদি খালাজি জানিয়েছেন, জুমার নামাজ প্রতীকী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই অস্থির সময়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা জনগণকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে চান।