বিনোদন প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ সংগীতজ্ঞ আলাউদ্দীন আলী। বর্তমানে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) চিকিৎসা চলছে তার। শারীরিক অবস্থা আরেকটু ভালো হলে তাকে বিদেশে নেয়া হবে।
গত ৮ এপ্রিল সিআরপিতে ভর্তি করানো হয় আলাউদ্দীন আলীকে। এখন সেখানেই সিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন তিনি। তাকে বিভিন্ন সময় দেখতে যাচ্ছেন তার সহকর্মী ও আত্মীয়রা। এর মধ্যে কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লাও দেখে এসেছেন আলাউদ্দীন আলীকে।
গতকাল শনিবার তাকে দেখতে গিয়েছিলেন চিত্রনায়ক ওমর সানী। তার সঙ্গে ছিলেন নন্দিত কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। আরও ছিলেন গীতিকবি কবির বকুল।
ঢাকায় ফিরে আলাউদ্দীন আলীর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ওমর সানী জানান, আলাউদ্দিন আলী ভাই খুব একটা ভালো নেই। ভালো করে কথা বলতে পারছেন না। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
সানি আরও বলেন, আমি গর্বিত যে আলী ভাই আমাকে দেখতে চেয়েছেন। গতকাল বকুল (কবির বকুল) ভাই আমাকে ফোন দিয়ে জানালেন এই কথা। কোনো চিন্তা না করে সকালবেলা সাভারের উদ্দেশে রওনা দেই। সেখানে ভাইয়ের সঙ্গে ছিলাম দুপুর পর্যন্ত। তবে এই অবস্থায় আলী ভাইকে দেখতে চাই না।
গত ২২ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত ১১টায় আলাউদ্দীন আলীকে রাজধানীর ইউনিভার্সেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে দুই মাসের বেশি সময়ের চিকিৎসায় তিনি অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে সিআরপিতে স্থানান্তর করা হয়। আরও সুস্থ হলে তাকে ব্যাঙ্কক নেয়ার কথা ভাবছে তার পরিবার।
আলাউদ্দীন আলী অসংখ্য জনপ্রিয় গান সৃষ্টি করেছেন। তিনি একাধারে সংগীত পরিচালক, সুরকার, বেহালাবাদক ও গীতিকার। আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ‘সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম’, ‘যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘আছেন আমার মুক্তার’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’, ‘ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়’, ‘সবাই বলে বয়স বাড়ে’, ‘আমায় গেঁথে দাওনা মাগো একটা পলাশ ফুলের মালা’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’- এমন আরো অনেক কালজয়ী গানের রূপকার আলাউদ্দীন আলী।