আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ইস্তাম্বুলে একটি তুর্কি বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৭৯ জন।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিমানটি ইস্তাম্বুলের সাবিহা গোকেন বিমানবন্দরে ভারি বৃষ্টিপাতের মধ্যে অবতরণের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহেরেটিন কোকা নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুর্ঘটনার কবলে পড়া বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি ছিল তুরস্কের পেগাসাস এয়ারলাইন্সের।
বিমান বিধস্তের সময় ১৮৩ জন যাত্রী ছিল। ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে উদ্ধারকর্মীরা।
ইস্তাম্বুলের গভর্নর আলী ইয়ারলিকায়া বলেন, বিমানটি প্রায় ৩০ মিটার (৯৮ ফুট) উচ্চতা থেকে ৫০-৬০ মিটার দূরে ছিটকে পড়ে। আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তবে আমরা বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। বিমানটি আগুনের শিখায় ফেটে যেতে পারত।
তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরে এখানকার ফ্লাইটগুলো ইস্তাম্বুলের প্রধান বিমানবন্দরের দিকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তুরস্কের বেসামরিক বিমান পরিবহন এবং এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ কীভাবে এই বোয়িং ভেঙে পড়ল তা জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে।
এর আগে গত জানুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আসা পেগাসাস এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ একই বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এতে কেউ হতাহত হয়নি। তবে বিমানবন্দরটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে একটি পেগাসাস বোয়িং ৭৩৭ ট্র্যাবসন বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে সমুদ্রের ধারে নিচে পড়া অবস্থায় আটকে যায়, এতেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।