ক্রীড়া ডেস্ক : প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ায় বোনাস পয়েন্ট পেয়েছে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন।
সিলেটে প্রথম দিন পড়েছিল ১৩ উইকেট। আজ দ্বিতীয় দিন পড়ল ১২ উইকেট। বোলারদের দিনে শেষ হাসি হেসেছে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়ালটনের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৮৭। লিড ১৯১ রান। হাতে ৫ উইকেট রেখে আরও ১০০-১৫০ রানের প্রত্যাশা করছে বিসিএলের দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। তাহলে চতুর্থ ইনিংসে বিসিবি নর্থকে দেওয়া যাবে কঠিন চ্যালেঞ্জ।
আজ শনিবার সকালের সেশনটা ছিল ওয়ালটনের। মুস্তাফিজুর রহমানের দারুণ বোলিংয়ে বিসিবি নর্থকে লিড নিতে দেয়নি ওয়ালটন। প্রথম দিনের ৩ উইকেটে ৮৯ রানের সঙ্গে আজ ৭৭ রান যোগ করে বিসিবি নর্থ গুটিয়ে যায় ১৬৬ রানে। বল হাতে ওয়ালটনের হয়ে ৪ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসার গতকালের ১ উইকেটের সাথে আজ পেয়েছেন আরও ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে ৬৮ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
দিনের তৃতীয় ওভারে মুশফিকুর রহিমের উইকেট পান মুস্তাফিজ। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটে টেনে আনেন মুশফিক। ইনজুরি থেকে ফিরে এসে মুশফিকের ব্যাটিং ভালো হলো না। ২৬ বলে করেছেন ২ রান।
মুগ্ধ নিজের প্রথম ওভারেই পান উইকেট। তানভীর ইসলামকে শরীরের ওপর তাক করা বাউন্স দিয়ে ফেরান সাজঘরে। স্লিপে দারুণ ক্যাচ নেন রকিবুল হাসান। পরের ওভারেই শহীদুলের বলে দ্বিতীয় স্লিপে শুভাগতর হাতে ক্যাচ দেন নাঈম ইসলাম। ১০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে বিসিবি নর্থ জোন।
সপ্তম উইকেটে আরিফুল ও এনামুল প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। ৩৪ রানের জুটি গড়েন। মুস্তাফিজ দিনের দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসে ভাঙেন এ জুটি। এনামুল উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৬ রানে। পরের দুই বলে দুই উইকেট ওয়ালটনের। সুমন খান রান আউট হন শহীদুলের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে। মুস্তাফিজ তাসকিনকে ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট পকেটে পুরেন।
একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আরিফুল রান তুলে যান। তার ব্যাটে লিডের আশা দেখছিল বিসিবি নর্থ। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি। বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানীকে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন ৫০ রানে।
ওয়ালটনের প্রত্যেক বোলার পেয়েছেন উইকেটের স্বাদ। মুস্তাফিজ ৪টি, সানী ২টি উইকেট পেয়েছেন। শহীদুল, মুকিদুল ও শুভাগত হোম পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা আবার নড়বড়ে ওয়ালটনের। প্রথম ওভারে তাসকিনের বলে উইকেট হারান নাঈম। এরপর মার্শাল ও রকিবুল দলকে টেনে নিলেও তারা কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। মার্শাল ১১ ও রকিবুল ২৭ রান করেন। চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ পায় ওয়ালটন।
আব্দুল মজিদকে সঙ্গে নিয়ে তাইবুর রহমান দ্যুতি ছড়ান। দুজনের জুটিতে আসে ৮৯ রান। মজিদ হাফ সেঞ্চুরি পেলেও তাইবুর মাত্র ৩ রানের আক্ষেপে পুড়েন। ৪৭ রানে তাকে সাজঘরের পথ দেখান আরিফুল হক। পঞ্চম উইকেটে অধিনায়কের সঙ্গী হন মজিদ।
দিনের খেলা প্রায় শেষের পথে। সেই সময়ে তাসকিনের ভয়ংকর বাউন্সারে পথ হারান মজিদ। শরীরের ওপর তাক করা বাউন্সে ব্যাট নামাতে পারেননি মজিদ। সাজঘরে ফেরার আগে ১০৭ বলে ৭ চারে ৬৯ রান করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। শুভাগত হোম ২৮ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন জাকের আলী অনিক। তাদের ব্যাটে তাকিয়ে ওয়ালটন।