নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে ফায়ার সেফটি এক্সপো। এতে ২৫ দেশের অংশগ্রহণে মোট ৭৫ স্টল হবে। তিন দিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো (ইফসি) ২০২০’ চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এ মেলা বসবে। সপ্তমবারের মতো আয়োজিত এ এক্সপো উপলক্ষে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ইলেকট্রনিকস সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব) আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপোর বিস্তারিত বিষয়ে তুলে ধরা হয়।
এতে মেলা আয়োজনের কো-পার্টনার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই মেলার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ইসাব-এর সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন খান।
তিনি জানান, ইফসি-২০২০-এ ফায়ার প্রোটেকশন, ফায়ার ডিটেকশন, সিসিটিভি এবং ভিডিও সার্ভিলেন্স, বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট, অ্যাকসেস কন্ট্রোল, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমসহ রেসকিউ এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত আধুনিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হবে।
বিশ্বমানের এসব পণ্য বিক্রেতা ও সরবরাহকারীদের সঙ্গে এর ব্যবহারকারী ও ক্রেতাদের পরিচিতি লাভের একটি সর্বোত্তম প্লাটফর্ম এ এক্সপো। এবারের এক্সপোতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, তাইওয়ান, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), পর্তুগাল, স্পেন, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতসহ ২৫টি দেশের বিভিন্ন ব্রান্ডের ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হবে। এক্সপোতে মোট স্টল থাকবে ৭৫টি।
সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘সেইফটি ও সিকিউরিটি জোরদারের ক্ষেত্রে এই এক্সপো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সারা দেশে বর্তমানে ৪১৪টি ফায়ার স্টেশন চালু আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সারা দেশের প্রতিটি উপজেলার ন্যূনতম একটি করে ফায়ার স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।’
প্রকল্পের কাজ শেষে সারা দেশে ফায়ার স্টেশনের মোট সংখ্যা হবে ৫৬৫টি। তিনি নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে সকলকে বিএনবিসি অনুসরণ করে স্থাপনা নির্মাণের পরামর্শ দেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার জানান, সরঞ্জাম প্রদর্শনীর পাশাপাশি এবারের এক্সপোতে চারটি বিশেষ সেমিনার থাকবে। এছাড়া মেলার প্রথম দিন বেলা ২টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে অগ্নিনির্বাপণ, উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক মহড়া।
এছাড়াও এক্সপোর সহযোগী পার্টনার হিসেবে রয়েছে- র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব), এনএফপিএ-ইউএসএ, বিজিএমইএ, বিটিএমইএ, বেসিস, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি, ফায়ার ফাইটিং ইক্যুইপমেন্ট বিজনেস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ পাইপ অ্যান্ড টিউবওয়েল মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ইসাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহমুদ, পাবলিসিটি সেক্রেটারি ও এক্সপো কনভেনার জাকির উদ্দিন আহম্মেদ, ট্রেজারার মো. মাহমুদ-ই-খোদা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।