জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে বর্ষব্যাপী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন,স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের শপথ কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ ২০২০-২১’ উদযাপন অনুষ্ঠানমালা অবহিতকরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সভায় সূচনা বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি। সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু এমপি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ এমপি, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী এমপি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এমপি এবং সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি।
সভায় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানমালা উপস্থাপন করেন সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান।
আগামী ১৭ মার্চ জাতীয় পর্যায়ে মুজিববর্ষ কার্যক্রম উদ্বোধন হবে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, জাতীয় সংসদ ১৯ মার্চ দক্ষিণ প্লাজায় শিশু মেলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মুজিববর্ষ কার্যক্রম শুরু করবে। শিশু মেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাতীয় সংসদ আয়োজিত বর্ষব্যাপী মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানমালার শুভ উদ্বোধন করবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ সময় মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হয়ে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চলবে।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী ২২-২৩ মার্চ বিশেষ অধিবেশন আয়োজন করা হচ্ছে। একজন বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্বকে বিশেষ অধিবেশনে বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ২২ মার্চ অধিবেশন শুরুর ২ ঘণ্টা আগে একাদশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্যগণ ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবেন।
এছাড়া মুজিববর্ষ উপলক্ষে বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর আলোকচিত্র ও প্রামাণ্য দলিল প্রদর্শনী নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন’ স্থাপন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ সংবিধান দিবস উদযাপন, ১-৫ ডিসেম্বর ‘মুজিবমঞ্চ’ স্থাপন ও বিজয়মেলা আয়োজন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সংসদে প্রদত্ত ভাষণ সংবলিত বিশেষ প্রকাশনা করা হবে।