আদালত প্রতিবেদক: রাজধানীর কলাবাগানে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রী সাজেদা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন স্বামী ফেরদৌস মিয়া।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তাকে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আদালতের কলাবাগান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাফায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার রাতে ফেরদৌস পরকীয়ার সন্দেহে কলাবাগানের ভূতের গলি এলাকায় একটি বাসায় সাজেদা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করে। স্থানীয় লোকজন ফেরদৌসকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়।
স্থানীয়রা জানান, দুই তিন বছর আগে ফেরদৌস ও সাজেদা হবিগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসেন। রাজধানীর কলাবাগানের ভূতের গলি এলাকায় দুই সন্তানকে নিয়ে একটি টিনসেড বাসায় ভাড়া থাকতেন তারা।
ফেরদৌস পেশায় রিকশাচালক। তিনি মাদকাসক্ত। সাজেদা আক্তার বাসা বাড়িতে কাজ করতেন।
সাজেদা যে বাসায় থাকতেন তার থেকে কিছু দূরের বাসিন্দা জনৈক রাসেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ করার ফাঁকে সাজেদা রাসেলকে নিয়ে গভীর রাত অবধি বাইরে থাকতেন। দুই শিশুসন্তান বাসায় থাকলেও তাদের ঠিকমত আদর-যত্ন কিংবা পরিচর্যা করতেন না। এ অবস্থা দেখে প্রায়ই সাজেদা ও ফেরদৌসের ঝগড়া-বিবাদ হত। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বেশ কয়েকবার শালিসও হয়।