অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : দেশের পুঁজিবাজারে আইনি ও কাঠামোগত সংস্কারে ১৭ কোটি ডলার ঋণের অর্থ ছাড় অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ শনিবার সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার ফিলিপাইনের ম্যানিলায় এডিবির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় এ ঋণ অনুমোদন করা হয়।
সংস্থাটি থার্ড ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (সিএমডিপি-৩) আওতায় দ্বিতীয় ধাপে বাজেট সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে এ ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। এর আগে সংস্থাটি সিএমডিপি-৩ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৮ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল।
২০১৫ সালের নভেম্বরে দেশের পুঁজিবাজার সংস্কারে ২৫ কোটি ডলারের সিএমডিপি-৩ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ে দেয়া ৮ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তার মধ্যে ৭ লাখ ডলারের কারিগরি সহায়তা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর মধ্যে ৩ লাখ ডলার কোরিয়া সরকারের ই-এশিয়া ও নলেজ পার্টনারশিপ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়।
এডিবির ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর স্পেশালিস্ট তাকোয়া হোশিনো বলেন, ‘সিএমডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সঙ্গে এডিবির দীর্ঘমেয়াদী সংযোগের ফলে আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর রূপান্তর ঘটেছে। মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত হতে অবকাঠামো খাতের মতো অর্থবহ খাতে বিনিয়োগে সরকারের দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন নীতির সঙ্গে এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ। এডিবির প্রকল্পের মাধ্যমে একটি টেকসই পুঁজিবাজার গঠনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে পুঁজিবাজার উন্নয়ন মহাপরিকল্পনার আওতায় অসমাপ্ত বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে সরকারও আগ্রহী।’
এডিবি ২০১২ সালে সিএমডিপি-২ প্রকল্প অনুমোদনের সময় থেকেই পুঁজিবাজারের বর্তমান সংস্কার কার্যক্রমকে সহায়তা করে আসছে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরের বাজার ধসের পর আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নের পথে পুঁজিবাজারকে ফিরিয়ে আনাই ছিল এ প্রকল্পের লক্ষ্য। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ বছর মেয়াদী জাতীয় পুঁজিবাজার উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশন, উন্নত করপোরেট সুশাসন, আর্থিক প্রতিবেদন ও নিরীক্ষাকে আরো বেশি বিশ্বাসযোগ্য করা এবং বিমা খাতের উন্নয়নে বেশকিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এডিবি বলছে, সিএমডিপি-২ প্রকল্পের মাধ্যমে যে ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে, সেটিকে আরো বিস্তৃত ও গভীর করার পাশাপাশি টেকসই পুঁজিবাজার উন্নয়নে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ২০১৫ সালে সিএমডিপি-৩ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এর মূল্য লক্ষ্যই ছিল নিয়ন্ত্রক ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে প্রকৃত সংস্কার নিশ্চিত করা।