নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকায় সফররত মালয়েশিয়ান মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারান বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে চাই। এজন্য আমি ঢাকায় এসেছি।’
আজ রবিবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এম কুলাসেগারান বলেন, ‘মালয়েশিয়া এই মুহূর্তে কর্মী সংকটে রয়েছে। তাই দ্রুত বাংলাদেশিদের জন্য শ্রমবাজার খুলতে আমরা আগ্রহী। আর এ নিয়ে আমরা দুই দেশ একমত হয়েছি। আমরা আশা করি, দ্রুত সব নির্ধারণ করতে পারব।’
বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ রয়েছে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে। এরপর বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ কূটনৈতিক উপায়ে দেশটিতে শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে কয়েক দফা মালয়েশিয়া সফর করেন এবং দুই দেশ মিলে গঠন করে জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি।
কুলাসেগেরান জানান, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার ঢাকা অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং করতে তার দেশের কর্মকর্তারা ঢাকায় আসবেন।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘সেই বৈঠকে কয়েকটি বিষয় ফাইনালাইজড করতে তারা আসবেন। এরপর আমি পুরো বিষয়টি আমাদের মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করব।’
বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী নিতে মালয়েশিয়ার আগ্রহ রয়েছে বলে জানান মানবসম্পদমন্ত্রী কুলাসেগারান।
বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলা নিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক। বৈঠকে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী কুলাসেগারান থাকছেন না। মন্ত্রী না থাবলেও তার ঢাকা সফরের মাধ্যমেই বৈঠকের মধ্য দিয়ে পুনরায় মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর পথ খোলার আশা করা হচ্ছে।
বৈঠক প্রসঙ্গে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রীর সঙ্গে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা এক জায়গায় এক মত হয়েছি যে, মার্কেট আমাদের দ্রুত খুলতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেক আলাপ হয়েছে, এগুলো আগামী বুধবার জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির সভায় চূড়ান্ত হবে।’
খুব শিগগিরই মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের বাজার খোলার বিষয়ে দুই দেশ একমত হতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইমরান।
গত বছরের ৩ নভেম্বর দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রী ইমরান আহমদ বাংলাদেশের সাত-সদস্যের এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান তার দেশের আট-সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
শ্রমবাজার খোলা নিয়ে গত ৩ থেকে ৬ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ২৪ ও ২৫ নভেম্বর ঢাকায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির পরের দফা আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু শেষ সময়ে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা দেখিয়ে বৈঠক স্থগিত করে মালয়েশিয়া। তবে স্থগিত বৈঠক নিয়ে সব সময় যোগাযোগ রেখেছে ঢাকা। শেষ পর্যন্ত আগামী বুধবার হতে যাচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত সেই বৈঠকটি।