ক্রীড়া ডেস্ক: সানরাইজার্স হায়দরাবাদের নেতৃত্বে ফিরলেন ডেভিড ওয়ার্নারবল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ হওয়ায় ২০১৮ সালের আইপিএল খেলা হয়নি ডেভিড ওয়ার্নারের। স্বাভাবিকভাবেই সানরাইজার্স হায়দারবাদের নেতৃত্ব হারাতে হয় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারকে। গত মৌসুমে আইপিএলে ফিরলেও খেলতে হয়েছে তাকে কেন উইলিয়ামসনের অধীনে। এবারের আসরে আবার ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অধিনায়কত্ব ফিরে পেলেন তিনি। ২৯ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া আইপিএলে অধিনায়ক হিসেবে ওয়ার্নারের নাম ঘোষণা করেছে হায়দরাবাদ।
২০১৮ ও ২০১৯ সালে দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন উইলিয়ামসন। তার অধীনে ২০১৮ সালে ফাইনালে উঠলেও হারতে হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে। দুর্দান্ত নেতৃত্বের সঙ্গে কিউই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ঝরেছিল রানের বৃষ্টি, ওই আসরে উইলিয়ামসন করেন ৭৩৫ রান। গত বছর অবশ্য চোটের কারণে বেশ কয়েকটি ম্যাচে বাইরে থাকতে হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে হায়দরাবাদকে এগিয়ে নেন ভুবনেশ্বর কুমার। ২০১৯ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে এলিমিনেটর হেরে বিদায় নিতে হয় তাদের।
এবার নেতৃত্ব বদল হলো। দায়িত্ব আবারও তুলে দেওয়া হয়েছে ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত অধিনায়কত্ব করা ওয়ার্নারের কাঁধে। এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের নেতৃত্বেই ২০১৬ সালে একমাত্র শিরোপা জিতেছে হায়দরাবাদ। অধিনায়কত্ব ফিরে পেয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত ওয়ার্নার, ‘এবারের আইপিএলে অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে আমি শিহরিত। এই সুযোগের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ জানাতে চাই গত বছর নেতৃত্ব দেওয়া কেন উইলিয়ামসন ও ভুবনেশ্বর কুমারকে। শিরোপা জেতার জন্য নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব।’
৪৫ ম্যাচে হায়দরাবাদকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ওয়ার্নার, যেখানে ২৬ জয়ে তার হার-জিতের অনুপাত ১.৩৬৮। অন্যদিকে ২৬ ম্যাচ নেতৃত্ব দিয়ে ১৪ জয় পাওয়া উইলিয়ামসনের হার-জিতের অনুপাত ১.২৭২।
ওয়ার্নার অধিনায়ক হওয়ায় হায়দরাবাদ তাদের বিদেশি খেলোয়াড়দের অদল-বদল করে খেলানোর সুযোগ পাবে। সেক্ষেত্রে উইলিয়ামসনকেও বসে থাকতে হতে পারে বেঞ্চে। কেননা স্কোয়াডে আছেন ম্যাচজেতানোর ক্ষমতা রাখা জনি বেয়ারস্টো, মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খান। বিদেশি ক্যাটাগরিতে আরও আছেন মিচেল মার্শ, ফ্যাবিয়েন অ্যালেন ও বিলি স্ট্যানলেক।