জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : প্রতিটি পরিবারকে বিদ্যুতের আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার, এ কথা জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এজন্য আনুষঙ্গিক খরচ মেটাতে বিদ্যুতের দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।
আজ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও পানিতে সরকার যে ভর্তুকি দিচ্ছে, তার খরচ মেটানোর জন্য দাম কিছুটা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এখনো যথেষ্ট পরিমাণে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধির পরেও সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে।’
‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারের টার্গেট হচ্ছে- প্রতিটা ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া। শতভাগ বিদ্যুতের নিশ্চয়তা দেয়া। সে টার্গেটকে সামনে রেখেই বিদ্যুতের কিছু আনুষঙ্গিক খরচ আছে তা পূরণ করতে এবং ক্রমাগত ভর্তুকি কমাতে কিছু দাম বাড়ানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘গ্রাম অঞ্চলে ৫ শতাংশ, শহর অঞ্চলে ৮ শতাংশ দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কৃষকদের জন্য বিদ্যুতের দাম একেবারে নিম্ন পর্যায় রয়েছে। সাময়িক কিছু সমস্যার জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে, এটা মেনে নেয়ার জন্য জনগণের প্রতি আমি অনুরোধ রাখব।’
বিদ্যুতের কোনো সংকট হবে না, এ আশ্বাস দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আগে দাম বাড়ত, কিন্তু লোডশেডিং কমত না। দিনের পর দিন লোডশেডিং থাকত। এখন বিদ্যুৎ সরবরাহ ২৪ ঘণ্টা নিশ্চিত করা হবে। মানুষের জন্য বিদ্যুৎকে আরো সহজলভ্য করা হবে। শতভাগ বিদ্যুতের নিশ্চয়তা এবং জনগণের ভোগান্তি কমাতে কিছুটা দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে।’
পানির দাম বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেখানেও কিছু সমস্যা আছে। ঢাকা শহরে পানির জন্য এক সময় হাহাকার ছিল, এখন কিন্তু সেই হাহাকার আর নেই। সেজন্য কিছু ঘাটতি থাকতে পারে, উৎপাদন খরচের জন্যই কিছুটা দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে।’
‘কতকাল আর ভর্তুকি দিবে সরকার। আস্তে আস্তে ভর্তুকি কমাতে হবে। সবকিছুর দিকে নজর রেখেই সরকার এ বিষয়গুলো ম্যানেজ করে যাচ্ছে’, বলেন তিনি।
আগামী দুই মাসের মধ্যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হলে পদ্মা সেতুর কাজের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, এ আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প হচ্ছে পদ্মা সেতু। এখানে প্রায় ১ হাজারের মতো চীনা কর্মী কাজ করে। এর মধ্যে ১৫০ জন ছুটিতে গেছেন। তারপরও ২৫তম স্প্যান বসানো হয়েছে।’
‘আগামী দুই মাসের মধ্যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির যদি উন্নতি না হয়, যারা ছুটিতে আছেন তারা ফিরে না এলে, পদ্মা সেতুর কাজে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেলের কাজ বন্ধ হবে না। যথারীতি কাজ চলবে, পদ্মা সেতুর স্প্যান বসবে’, বলেন ওবায়দুল কাদের।