বিশেষ প্রতিবেদক, সিটিজেন নিউজ: ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় ক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দেয় কৃষক।কৃষক-ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকার ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষায় কৃষি উৎপাদন পণ্য ও কৃষি উৎপাদন যন্ত্রের মূল্য বৃদ্ধি করে এবং কৃষিপণ্যের বাজার ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দিয়ে রেখেছে। কিন্তু কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করে কৃষকের লাভজনক মূল্য নিশ্চিত করছে না।
তারা বলেন, কৃষক বাঁচলে ১৮ কোটি মানুষ বাঁচবে। কৃষকের উন্নয়ন ব্যতিরেকে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই অবিলম্বে কৃষকের ধানের লাভজনক মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
কৃষক-ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দনসহ নেতৃবৃন্দ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, সরকারের কার্যকরী উদ্যোগ ও সদিচ্ছার ঘাটতির কারণে আজ কৃষক আত্মঘাতী হয়ে উঠছে। ফসলের লাভজনক মূল্য নিশ্চিত করতে অবিলম্বে সরকারি মূল্যে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে হবে এবং ইউনিয়নে ইউনিয়নে ফসলের সরকারি ক্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে।
তারা আরও বলেন, দেশে কৃষকের উৎপাদিত এক মণ ধানের মূল্য এক কেজি গরুর মাংসের চাইতেও কম। কৃষক ফসল উৎপাদন করে লাভজনক মূল্য না পাওয়ায় সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছে। কৃষক তার উৎপাদিত ধান বিক্রয় করে তার উৎপাদন খরচ তুলে আনতে পারছে না, ফলে তার ঋণের বোঝা বাড়ছে এবং দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
মাঠের ধান কেটে গোলায় ভরার খরচও না ওঠায় বিক্ষুব্ধ কৃষক নিজের মাঠের ধানে আগুন দিচ্ছে। অথচ কৃষকের উৎপাদিত ধানের লাভজনক মূল্য কৃষক না পেলেও মধ্যসত্বভোগী ব্যবসায়ীরা উচ্চলাভের টাকায় আঙুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে।
বিবৃতিতে সরকারকে তারা সর্তক করে দিয়ে বলেন, সরকার যদি কৃষকের ধানের লাভজনক মূল্য নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয় তবে কৃষকরা সংগঠিত হয়ে কৃষকের স্বার্থরক্ষায় ব্যর্থ সরকারের ব্যর্থ কৃষিনীতি পরিবর্তন করে দেবে।