শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
গুলশানের বিলাস আর্ট লাউঞ্জ বারে অভিযান; বিদেশি মদসহ আটক-৯ কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে জনগণ বিষদাঁত ভেঙে দিবে: এম এ মালিক বিএনপি নেতাদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় মোহাম্মদপুরে শ্রমিক দলের দোয়া মাহফিল ১৫ সেনা কর্মকর্তার আইনজীবী হিসেবে আর লড়বেন না ব্যারিস্টার সরোয়ার পলাতক ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: আসিফ নজরুল কিছু দল নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দাবাড়ু মনন রেজা নীরকে আর্থিক সহায়তা দিলেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক টানা দুই ম্যাচে ডাক পেলেন কোহলি সৌদি আরবের চতুর্থ গ্র্যান্ড মুফতি হলেন আল ফাওজান এনসিপি ও জামায়াতকে আশ্বাস: নির্বাচনের আগে প্রশাসনের রদবদল তদারকি করবেন প্রধান উপদেষ্টা

চীনের শেনজেন শহরে কুকুর-বিড়ালের মাংস নিষিদ্ধ

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০
  • ২৪১ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের শেনজেন শহর কুকুর ও বিড়ালের মাংস বিক্রি ও খাওয়া নিষিদ্ধ করেছে। দেশটির কোন শহর প্রথমবারের মত এই দুটি প্রাণির মাংস নিষিদ্ধ করলো। করোনাভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে বন্যপ্রাণীর মাংসের সম্পর্ক উদ্ভাবন হবার পর চীনের কর্তৃপক্ষ বন্যপ্রাণী খাওয়া এবং বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

শেনজেন এক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে শুধু বন্যপ্রাণী নয়, কুকুর ও বিড়ালের মাংস বিক্রি এবং খাওয়াও নিষিদ্ধ করেছে। আগামী পহেলা মে থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

হিউম্যাইন সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল বলছে প্রতি বছর ৩ কোটি কুকুর মারা হয় শুধু এশিয়াতে। মাংসের জন্যই এটা করা হয় মূলত।

তবে চীনে কুকুরের মাংস খাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা নয়। অধিকাংশ চীনারা কখনোই কুকুরের মাংস খায়নি বা খেতেও চায় না। রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে শেনজেন শহর কর্তৃপক্ষ বলছে, কুকুর ও বিড়ালের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক সবচেয়ে গভীর। উন্নত দেশে কুকুর ও বিড়াল খাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে আরো আগে।

এই নিষেধাজ্ঞাকে মানব সভ্যতার অংশ বলছেন তারা। প্রাণীদের অধিকারবিষয়ক সংগঠণ, হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল, চীনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে।

সংস্থাটির হয়ে চীনে কাজ করেন ড. পিটার লি। তিনি বলছেন, যেখানে চীনে প্রতি বছর ১ কোটি কুকুর ও ৪০ লাখ বিড়াল মারা হয় ব্যবসার জন্য। সেখানে এই সিদ্ধান্ত নিশ্চিতভাবেই একটা বড় প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে।

তবে একই সময়ে চীনে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য ভালুকের পিত্তরস ব্যবহার করার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ভালুকের পিত্তরস চীনে প্রাচীনকাল থেকেই ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে, যেটা বন্দী ভালুকের পাকস্থলী থেকে সংগ্রহ করা হয় একদম তরতাজা অবস্থায়।

এটি লিভারের নানা ব্যধি থেকে সারিয়ে তোলা এবং গলপাথর গলানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ভালুকের পিত্তরস করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর এমন কোন প্রমাণ নেই। একইসাথে যেভাবে এই পিত্তরস সংগ্রহ করা হয় সেটি প্রাণীটির জন্য কষ্টদায়ক।

এনিমেলস এশিয়া ফাউন্ডেশনের একজন মুখপাত্র ব্রায়ান ডালি বলেন, ‘আমরা এমন একটা রোগের বিরুদ্ধে ভালুকের পিত্তরস ব্যবহার করছি যেটা কিনা বন্যপ্রাণী থেকেই সংক্রমিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’

ফেব্রুয়ারি মাসে চীনের কর্তৃপক্ষ সকল বন্যপ্রাণী বাণিজ্য ও খাওয়া নিষিদ্ধ করে দেয়। উহানের একটি বাজারে বন্যপ্রাণী বিক্রি করা হতো এবং ধারণা করা হয় সেখান থেকেই করোনাভাইরাস প্রাণী দেহ থেকে মানবদেহে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারে। এসব খবরের পর চীনের সরকার কঠোরভাবে এসব বাজারে নিষেধাজ্ঞা আনে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com