বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : কোভিড-১৯ বা নতুন করোনাভাইরাস একটি বৈশ্বিক মহামারি। এই সংকট যেমন স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত তেমনি এই সংকট মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড তথা অর্থনীতিতে বিরাট নেতিবাচতক প্রভাব সৃষ্টি করেছে। দেশের তরুণদের সহযোগিতায় এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ‘অ্যাক্ট কোভিড-১৯’ নামক অনলাইন হ্যাকাথনের আয়োজন করা হয়েছে।
বর্তমান ও ভবিষ্যতের জাতীয় সংকট মোকাবেলার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ‘কলফরনেশন’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। গত ৩০ মার্চ আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই প্ল্যাটফর্মটি উদ্বোধন করেন। এই প্ল্যাটফর্মের প্রথম কার্যক্রম হিসেবে এই হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক প্রতিভাবান তরুণ আছে। তাদের কেউ কেউ বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক বা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। নতুন করোনাভাইরাসের ফলে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, আমার বিশ্বাস, আমাদের তরুণদের উদ্ভাবন ও নেতৃত্ব দিয়েই এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। এ কারণে এই প্ল্যাটফর্মে আমি তাদের সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশকে কিছু দেওয়ার, এটাই তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ সুযোগ।’
উদ্ভুত পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে অনলাইন হ্যাকাথনে সর্বমোট ৬টি বিষয় নিয়ে কাজ করা যাবে। এই বিষয়গুলো হচ্ছে স্যোশিও ইকোনোমিক্যালি ডিজঅ্যাডভান্টেজ পিপল, বিজনেস অপারেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন, হেলথ কেয়ার ইক্যুইপমেন্ট অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট, অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন, মেন্টাল হেলথ ও আদারস। এর মধ্যে ‘আদারস’ ক্যাটাগরিটিতে বর্তমান পরিস্থিতিতে সৃষ্ট হওয়া যেকোনো সমস্যা নিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
এই সকল সমস্যা সমাধানে দেশের তরুণদের কাছ থেকে উদ্ভাবনীমূলক আইডিয়া, প্রকল্প, পরিকল্পনা প্রভৃতি চাওয়া হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নির্বাচিত ১০টি উদ্ভাবনকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য সিড ফান্ড, কাঁচামালের যোগান বা উদ্যোগগুলোকে জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত করার সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
https://callfornation.com লিংক থেকে হ্যাকাথন সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়মকানুন জানা ও নিবন্ধন করা যাবে। অংশগ্রহণকারী এককভাবে বা দলগত ভাবেও হ্যাকাথনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। আগ্রহীদেরকে অবশ্যই উদ্ভাবনীর প্রোটোটাইপসহ ২০ এপ্রিল এর মধ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্প জমা দিতে হবে।