বিশেষ প্রতিবেদক : ত্রাণ চুরি বন্ধ, ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া, স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, শ্রমজীবী ও কর্মহীন যুবকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবিতে দেশব্যাপী ‘দূরবন্ধন কর্মসূচি’ পালন করেছে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন। এ বিষয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ দূরবন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সংগঠনের সভাপতি হাফিজ আদনান রিয়াদের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ও ঢাকা নগরের নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এসময় কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম জুয়েল, সহসাধারণ সম্পাদক শরিফুল আনোয়ার সজ্জন, ক্রিড়া সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজিম, ক্ষেতমজুর সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুজ্জামান নাদিম, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি যুবনেতা জিলানী শুভ, যুবনেতা রিয়াজ খান, জাহিদ নগর, মিঠুন রায় প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন ।
দূরবন্ধন কর্মসচীতে যুব ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশ আজ ভয়াবহ সংকটের দ্বারপ্রান্তে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে একদিকে কোয়ারেন্টাইন-লক ডাউনেই সমাধান, অন্যদিকে শ্রমজীবী, নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ এমনকি মধ্যবিত্তরাও আয়হীন হয়ে পড়েছে। ঘরবন্দি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের খাদ্য সংকটের আহাজারি তীব্র হচ্ছে।
সরকার প্রথম থেকে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। বিদেশফেরতদের নিয়ন্ত্রণ করেনি। সাধারণ ছুটি দিয়ে গণপরিবহনে এক কোটি মানুষকে গ্রামে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি খোলা রাখতে দিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে তামাশা করা হয়েছে।। সময়মতো চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারেনি। সরকারের পাঠানো ত্রাণ নিয়ে সংক্রমণ এড়ানোর অজুহাতে বিতরণ এড়ানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলন, ইতোমধ্যে সারাদেশ থেকে ত্রাণের চাল চুরির খবর আসছে। স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, চেয়ারম্যান, মেম্বারদের সঙ্গে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী-সদস্যদের নাম উঠে আসছে। মানুষের এই চরম দুর্দিনে ত্রাণের চাল চুরির প্রবনতা দুঃখজনক। যুব ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ ত্রাণের চাল অবাধ চুরির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে জড়িতদের বিরুদ্ধে কার্যকর ও দ্রত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
যেহেতু এখন জমায়েত করা ঝুঁকিপূর্ণ, তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ান। কর্মসূচি শেষে দুই জন প্রতিনিধি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর সংগঠনের স্মারকলিপি পেশ করেন।