নিউজ ডেস্ক: টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক খন্দকার আসাদুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপ্রতি আসাদুজ্জামানের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকার গুলশানে নিজ বাসায় মারা যান খন্দকার আসাদুজ্জামান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। মুজিবনগর সরকারের প্রথম অর্থসচিব ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্থাপন বিষয়ক এই উপদেষ্টা স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন।
রাষ্ট্রপতি ছাড়াও আসাদুজ্জামানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির এবং ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ।
খন্দকার আসাদুজ্জামানের ছেলে খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল জানান, তাঁর বাবার প্রথম জানাজা গতকাল রাতে গুলশানের বাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নারুচিতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে আজ রবিবার পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হবে।
খন্দকার আসাদুজ্জামান টাঙ্গাইল-২ আসন থেকে ১৯৯৬ সালের জুন মাসের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।