আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসেস বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারি বিদায় নেবে আরো অনেক পরে। শিশুরা কোভিড-১৯ রোগের ঝুঁকিতে না থাকলেও তাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন এই কর্মকর্তা। কারণ করোনায় সাধারণ স্বাস্থ্য সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে, বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোর শিশুদের জীবন রক্ষাকারী টিকা দেওয়ায়।
আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা ও কিছু এশিয়ান দেশে সংক্রমণ ও মৃতের ক্রমবর্ধমান হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা। সোমবার জেনেভায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডাব্লিউএইচও মহাপরিচালক বলেছেন, ‘আমাদের সামনে এখনো অনেক লম্বা পথ বাকি এবং অনেক কাজ করতে হবে।’ সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা সামাল দেওয়া যাবে মনে করেন তেদ্রোস।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনে উৎপত্তি হওয়া করোনাভাইরাসে ৩০ লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রাণহানি ২ লাখ। এই রোগে শিশুরা কম ঝুঁকিতে থাকলেও মহামারির কারণে জরুরি অবস্থা প্রভাব ফেলছে অন্য রোগের টিকাদান কর্মসূচিতে, তাতে শিশুদের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে।
তেদ্রোস বলেছেন, ‘হয়তো করোনাভাইরাসের কারণে শ্বাসকষ্টজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর ঝুঁকি হয়তো শিশুদের ক্ষেত্রে কম। কিন্তু টিকা দিয়ে প্রতিরোধ করা যায় এমন অন্য রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে তারা।’ পোলি, মিজেলস, কলেরা, হলুদ জ্বর ও মেনিনজাইটিসের মতো রোগের বিরুদ্ধে নিয়মি টিকাদান বিলম্বিত হওয়ায় বিশ্বে ১ লাখের বেশি মানুষ ভুগছে বলে জানান তিনি। জিএভিআই গ্লোবাল ভ্যাকসিন জোটকে উদ্ধৃত করে তেদ্রোস জানান, করোনা মহামারির কারণে সীমান্তে কড়াকড়ি ও ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞায় ২১টি দেশে অন্য রোগের প্রতিষেধকের ঘাটতি দেখা গেছে।
মহামারির কারণে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় কতটা প্রভাব পড়ছে সেটা জানালেন তেদ্রোস, ‘সাব-সাহারা আফ্রিকায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের হার দ্বিগুণ। এমনটা ঘটতে দেওয়া যাবে না, আমরা সমর্থন দিতে দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করছি।