অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে দেশের অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, মার্কেট ও শপিং মল। তবে কিছু দিন ধরে ব্যবসায়ীরা দাবি জানাচ্ছেন যে, সীমিত পরিসরে হলেও মার্কেট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হোক। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য ১৩টি শর্ত দিয়েছে ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতি।
সোমবার (৪ মে) সমিতির সভাপতি তৌফিক এহেসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী বেশকিছু শর্ত পালন ও পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও মার্কেটের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে।
শর্ত ও পদক্ষেপগুলো হচ্ছে: দোকান/অফিসে নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করা, পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও ক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, গ্লাভসের ব্যবহার নিশ্চিত করা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা ও প্রবেশ পথে ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত ভেজানো ফোম/পাপোস রাখা, ক্রেতাদের দোকানে প্রবেশ, অবস্থানকালীন ও পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, দোকানে প্রবেশকালে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, প্রবেশ পথে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা, ক্রেতাদের ভিড় পরিহার করার লক্ষ্যে নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী বা লোক দিয়ে ব্যবস্থাপনা জোরদার করা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা অবস্থায় বিক্রয়কর্মী/কর্মচারীদের দুই ভাগে ভাগ করে শিফটে করে ব্যবসা পরিচালনা করা। বড় দোকানে তিনজন কর্মী, মাঝারি দোকানে দুজন কর্মী, ছোট দোকানে একজন কর্মী দ্বারা ব্যবসা পরিচালনা করা, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ব্যবসা করা, জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভোগা ব্যক্তিদের মার্কেটে প্রবেশ করতে না দেওয়া, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীদের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করে কর্মে যোগদান করা, কর্মচারী ও ক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে চলা।