নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: কাউন্টারে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা এবং বেশি দামে টিকিট বিক্রি করায় হানিফ, শ্যামলী ও এনাসহ ১২ পরিবহন কোম্পানিকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
রাজধানীর মিরপুর দারুস সালাম এলাকা এবং সায়েদাবাদে রোববার পৃথক এ অভিযান চালানো হয়।
মিরপুরে জরিমানা করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- নাবিল পরিবহন, দেশ ট্রাভেলস, শ্যামলী পরিবহন, শাহ ফতেহ আলী পরিবহন, এনা পরিবহন ও হানিফ এন্টারপ্রাইজ। প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মিরপুরের অভিযানটি পরিচালনা করেন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আরেফিন ও আফরোজা রহমান।
এ ছাড়া ধানমন্ডি এলাকায় ধার্য মূল্যের অধিক মূল্যে মাংস বিক্রির অপরাধে বিসমিল্লাহ গোস্ত বিতানকে ১০ হাজার এবং পণ্যের মোড়কে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা ও পচা মাছ বিক্রির অপরাধে মিনা বাজারকে এক লাখ টাকাসহ মোট ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে সায়েদাবাদে কে কে ট্রাভেলস, স্টার লাইন স্পেশাল, ড্রিমলাইন পরিবহন, এনা ট্রান্সপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড, আল বারাকা পরিবহনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে টিকিট বিক্রির অপরাধে হিমাচল এক্সপ্রেসকে ২০ হাজার ও হিমালয় এক্সপ্রেসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল ও ইন্দ্রানী রায়। বাজার অভিযানের সার্বিক সহযোগিতা করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-১১ এর সদস্যরা।
সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল জাগো নিউজকে জানান, ঈদ এলেই ঘরমুখী যাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে পরিবহন কোম্পানিগুলো। এতে হয়রানির শিকার হন সাধারণ যাত্রীরা। ঈদে যাত্রীদের কাছ থেকে যেন অতিরিক্ত টিকিটের মূল্য না নিতে পারে তাই অভিযান চালানো হচ্ছে।
তিনি জানান, আজকে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তদারকি করা হয়। ভোক্তা আইন অনুযায়ী প্রতিটি টিকিট কাউন্টারে মূল্য তালিকা টাঙানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেক কাউন্টার মূল্য তালিকা টাঙায়নি। অর্থাৎ টিকিটের মূল্য তালিকা সহজে দৃশ্যমান স্থানে রাখেনি। এ অপরাধে জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। আগামীতে এ ধরনের অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী বড় অঙ্কের জরিমানা করা হবে।
তিনি জানান, এদিন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের অপরাধে হাজি হোটেলকে ২০ হাজার টাকাসহ আট প্রতিষ্ঠানকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান অধিদফতরের এ কর্মকর্তা।