অনলাইন ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ: অনেকের শরীরে ঢেকে রাখা অংশের পাশাপাশি শরীরের খোলা যায়গায়ও প্রচুর ঘামাচি ওঠে। এই সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে অনেকেই বাজার চলতি পাউডার বা লোশন ব্যবহার করে থাকেন।তাপমাত্রার পারদ যত বাড়ছে ততই তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। আর গরম মানেই অনেকের প্রধান সমস্যা ঘামাচি।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন অন্য কথা। ঘামাচির সমস্যা থেকে বিরত থাকতে চাইলে সবচেয়ে আগে যা জরুরি তা হলো- নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। ঘামাচির হাত থেকে বাঁচতে পাউডার মাখলেও পরদিন অবশ্যই শরীরের ওই অংশ ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। কারণ, পাউডারের গুঁড়োয় ত্বকের লোমকূপ ছিদ্রগুলি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ধুয়ে না ফেললে সমস্যা বাড়বে। অন্যদিকে, ব্রণ, ফুসকুড়িসহ আরও নানা সমস্যা মাথা চাড়া দিতে পারে।
# ঘামাচি সমস্যার মোকাবেলায় বরফ অত্যন্ত কার্যকরী। একটি পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে মুড়ে বরফের টুকরো ঘামাচি আক্রান্ত ত্বকের উপর ৮-১০ মিনিট ঘষুন। এর ফলে ঘামাচি মরে গিয়ে ত্বকের জ্বালা, চুলকানি ভাব অনেকটাই কমে যাবে।
# স্নানের সময় ডেটল বা সুথল দিয়ে স্নান করতে পারেন।
# ঘামাচি আক্রান্ত ত্বকের উপর পাতি লেবুর রস লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে গোসল করুন।
# মুলতানি মাটি আর গোলাপ জল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ঘামাচির অস্বস্তি কমাতে আন্দাজ মতো মুলতানি মাটির সঙ্গে আধা কাপ গোলাপ জল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট ঘামাচি আক্রান্ত ত্বকের উপর ভাল করে মাখিয়ে দিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, ত্বকের জ্বালা, চুলকানি ভাব অনেকটাই কমে গেছে। দু’তিন দিন এই পদ্ধতি কাজে লাগালে ঘামাচির সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে।
# ত্বকের পরিচর্যায় বেসন অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। এক কাপ বেসনের সঙ্গে আন্দাজ মতো পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্ট ঘামাচি আক্রান্ত ত্বকের উপর ভাল করে মাখিয়ে দিন। মিনিট পনেরো পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতি পর পর দু-তিন দিন কাজে লাগাতে পারলে ঘামাচির সমস্যা থেকে সহজেই নিস্তার পাওয়া যাবে।