সুজন সারোয়ার,টঙ্গী ঃ গত ১৬ মে ২০২০ তারিখ টঙ্গী পূর্ব থানাধীন মধুমিতা রেল গেইট এলাকার একটি ময়লার স্তুপ থেকে চাদনী (৭) নামে প্রথম শ্রেনীর মাদ্রাসার ছাত্রী কে ধর্ষণের পর গলা টিপে এবং দুই পায়ে আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করার আসামী মোঃ নিলয় (১৫)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। রবিবার রাত সাড়ে ২ টার র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল টঙ্গী পূর্ব থানাধীন রেল স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার কুমড়ি গ্রামের মোঃ ওমর ফারুকের ছেলে মোঃ নিলয়। তিনি বেলতলা মসজিদ রোড কাউসার মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।
র্যাব জানান, দীর্ঘ দিন যাবৎ সে এবং তার সহযোগীরা মিলে টঙ্গী রেল স্টেশন এবং তার আশপাশ এলাকায় নিয়মিত চুরি ছিনতাই সংঘঠিত করে আসছিল। আসামীর নিলয় এর পরিবার এবং ভিকটিম চাদনীর পরিবার একই ভবনে ভাড়া থাকত, সেই সুবাদে আসামী নিলয় এবং ভিকটিম চাদনী পূর্ব পরিচিত।
গত ১৫ মে ২০২০ তারিখ বিকাল ০৩ টা দিকে চাদনী মাঠে খেলাধুলা করতে আসলে আসামী নিলয় এবং এই ঘটনার অন্যতম হোতা তার পলাতক সহযোগী মিলে ভিকটিম চাদনীকে চোখে চোখে রাখে এবং খেলাধুলা চলাকালীন নিলয় তাকে কৃষ্ণচূড়া গাছ থেকে ফুল পেড়ে দেয়। বাসায় ফিরার পথে বৃষ্টি হওয়ায় আশে পাশে লোক সমাগম কম থাকায় আসামী নিলয় ও তার সহযোগী পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে লোক চক্ষুর আড়ালে নিহত চাদনীকে চকলেট কিনে দেওয়ার নাম করে মিথ্যা কথা বলে ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী টঙ্গীস্থ মধুমিতা রেল গেইট এলাকায় সজীবের ইটের স্তুপের আড়ালে নিয়ে যায়।
এর পর প্রথমে আসামী নিলয় ভিকটিমের দুই হাত মুখ চেপে ধরে রাখে এবং তার সহযোগী শিশু চাদনীকে ধর্ষণ করে। এভাবে তারা দুই জনই ভিকটিমকে জোড়পূর্বক পালাক্রমে একাধিক বার গণধর্ষণ করে। পরবর্তীতে চাদনী কান্নাকাটি করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং ধর্ষণকারীরা ভাবে ভিকটিম বাড়ীতে গিয়ে সবাইকে সবকিছু বলে দিবে।
এসময় পলাতক ধর্ষক, চাদনীর গলা টিপে ধরে এবং নিলয় ভিকটিমের দুই পায়ে আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরবর্তীতে তারা ভিকটিম চাদনীর মরদেহ ময়লার স্তুপে ফেলে রেখে সেখান হতে দ্রুত পালিয়ে যায়। এই ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামীকে আটক করতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।