নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনায় সবকিছু স্থবির হয়ে পড়লেও মুসলমানদের মন পড়ে আছে ঈদ উদ্যাপনে। আজকের রাত পোহালেই সারাদেশের মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন। ঈদের এই আনন্দ ভাগাভাগি করতে অনেকেই চলে গেছেন নিজ বাড়িতে। কেউবা আছেন পথে। আম্পানের কারণে দুই দিন সারাদেশে ঝড় বৃষ্টি হলেও এখন প্রকৃতিতে বইছে ভ্যাপসা গরম। ঈদের দিনটি কাটবে কেমন? ভ্যাপসা গরম সহ্য করতে হবে, নাকি বৃষ্টি পণ্ড করে দেবে। এমন অবস্থার মধ্যে আবহাওয়া অফিস বৃষ্টির দিনে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি অঞ্চলে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দেশের অধিকাংশ এলাকার আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। খবর: বাসস
এদিকে রবিবার সকাল ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, টাঙ্গাইল, ঢাকা ও কুমিল্লা অঞ্চলসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়ারসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। রোববার সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের বিদায়ের পর শনিবার গরম পড়েছিল। শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রাজারহাটে ২১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ডিমলায় ২২ মিলিমিটার। এছাড়া রাজারহাটে ৯ মিলিমিটার ও শ্রীমঙ্গলে ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গপসাগরে অবস্থান করছে।