ক্রীড়া ডেস্ক : করোনাভাইরাস বিপর্যয়ের কারণে বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট হয়ে আছে একদম স্থবির। ক্রিকেট থেমে থাকলে সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। কারণ দেশটিতে এই বছর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর এরপরেই নিজেদের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে অজিরা। বিশ্বকাপে বিপুল অর্থ আয়ের হাতছানির পাশাপাশি, ভারত সিরিজ থেকে ৩০০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার আয়ের আশা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার।
কিন্তু করোনার জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর ও ভারত সিরিজ হবে কিনা তা নিয়ে ছিল সংশয়। অবশেষে সেটি কাটিয়ে দিলো আইসিসি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আইসিসি বুধবার ঘোষণা দিয়েছে, সূচি অনুযায়ী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। এরপরই অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজ আয়োজন করবে তারা। আর এরজন্য ভেন্যুর নামও ঘোষণা করেছে বোর্ডটি।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হয়ে থাকা বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ শুরু হবে ৩ ডিসেম্বর থেকে। সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে গ্যাবায়। পরের টেস্ট হবে ১১ ডিসেম্বর, অ্যাডিলেডে। এটি হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়ে প্রথমবারের মতো অ্যাওয়ে টেস্ট খেলতে রাজি হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সিরিজের বাকী দুই টেস্টের তৃতীয়টি হবে বক্সিং ডে টেস্ট, ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্নে। আর চতুর্থ ও শেষ টেস্ট হবে সিডনিতে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।
২০১৮-১৯ মৌসুমে প্রথমবারের মতো কোহলির নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে ভারত। তবে সে দলে ছিল না স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। দুজনেই নিষেধাজ্ঞায় বাইরে ছিল। এবার দলে আছেন দুইজনই। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া এখন পর্যন্ত ৭টি দিবা-রাত্রির টেস্টের একটিতেও হারেনি। ফলে ঘরের মাঠে শেষ সিরিজ হারের বদলা নিতে চাইবে অজিরা। ভারতও ধরে রাখতে চাইবে সে সাফল্য। দেখা যাক, করোনা জয় করে দর্শকদের কতটা বিনোদিত করতে পারে টেস্টের র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দল অস্ট্রেলিয়া ও তালিকার তিনে থাকা ভারত।