বিনোদন ডেস্ক : কিছু দিন আগে সুনামগঞ্জের বাউল রণেশ ঠাকুরের গানের ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে চল্লিশ বছর ধরে জমানো গানের সংগ্রহশালা ও বাদ্যযন্ত্র পুড়ে গেছে। তাই এই শিল্পীর পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আয়োজন করেন ‘লাইভ কনসার্ট ফর রণেশ ঠাকুর’।
গতকাল শনিবার রাত ৮টায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে অংশ নিয়ে জলের গানের সংগীতশিল্পী রাহুল আনন্দ মুখে কালি মেখে ঘটনার অভিনব প্রতিবাদ জানান। টানা আড়াই ঘণ্টা এ অনুষ্ঠান চলে। ‘জলের গান’-এর প্রতিষ্ঠাতা রাহুল আনন্দ প্রায় সোয়া ৯ মিনিটের পরিবেশনায় মুখে কালি মেখে গান ও ছবি আঁকার খাতার পৃষ্ঠা ছিঁড়ে বাউলের গানের ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনার ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রাহুল আনন্দ বলেন—আমি কোনো প্রতিবাদ, ঘৃণা, অন্যায়, অবিচারের জন্য বিচার চাইতে আসিনি। আগুনটা তো শুধু রণেশ ঠাকুরের গানের ঘরে দেওয়া হয়নি; সে আগুনের আঁচ আমার ঘরেও এসেছে। এমনকি আপনার ঘরেও পড়েছে। কেন বাউলের ঘরে আগুন? বাউল তো সাম্যের কথা বলে, বাউল সুন্দরের কথা বলে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই গান পরিবেশন করেন বাউল রণেশ ঠাকুর। এ ছাড়াও অংশ নেন বাংলাদেশের শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার, কনক আদিত্য, বাউল শফি মণ্ডল, বশিরউদ্দিন সরকার, সূর্যলাল দাস, সৈয়দ হাসান টিপু, পিন্টু ঘোষ, আশিক, শিবু কুমার শীল, প্রকাশ, কলকাতার শিল্পী দেব চৌধুরী ও রাজীব দাশ, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তাজুল ইসলাম, লন্ডন প্রবাসী অমিত দে, গৌরী চৌধুরী, সোহিনী আলম, জার্মান প্রবাসী শবনম সুরিতা, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী পারমিতা দে প্রমুখ।
কনসার্টের সমন্বয়ক প্রবাসী উজ্জ্বল দাশ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। এ আয়োজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন—বাউল রণেশ ঠাকুরের গানের ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি এই বাউলের দুর্দিনে তার পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যে এই কনসার্টের আয়োজন করা। কেবল রণেশ ঠাকুর নয়, এই করোনা-আপদকালে সকল বাউল শিল্পীর পাশে দাঁড়ানো ও স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টাও চালাচ্ছি আমরা।