নিউজ ডেস্ক: করোনা সংকটে সিঙ্গাপুরে প্রবাসী শ্রমিকদের দোরগোড়ায় অগ্রণী ব্যাংকের রেমিট্যান্স সেবা পৌঁছে দিচ্ছে অগ্রণী এক্সচেঞ্জ হাউজ লিমিটেড।
গত ২৯ মে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংক হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের আবাসস্থলে হাজির হয়ে রেমিট্যান্স সেবা দেওয়া শুরু করে অগ্রণী ব্যাংকের অগ্রণী এক্সচেঞ্জ হাউজ লিমিটেড।
জানা গেছে, অগ্রণী এক্সচেঞ্জ হাউজ সিঙ্গাপুরের উদ্যোগে সম্প্রতি সিঙ্গাপুর সরকারে মিনিস্ট্রি অব ম্যানপাওয়ার এবং মনিটরি অথরিটি অব সিঙ্গাপুরের সহায়তায় দেশটির মালয়েশিয়া সীমান্তবর্তী ক্রাঞ্জি অঞ্চলে এই সেবা দেওয়া হচ্ছে। প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের আবাসস্থল ক্রাঞ্জি লজ-১ ডরমেটরিতে এক্সচেঞ্জ হাউজটির কর্মকর্তারা সশরীরে হাজির রেমিট্যান্স সেবা প্রদান করেছেন।
ডরমেটরিতে একটি ব্লকে করোনা আক্রান্তসহ মোট তিনটি ব্লকে অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক বসবাস করেন। স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় সিঙ্গাপুর সরকারের আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে প্রায় দুই মাস টানা কোয়ারেন্টিনে আছেন সেখানকার শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের দুর্ভোগ বিবেচনায় বেতন-ভাতার টাকা দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির চ্যালেঞ্জ নিয়েই এক্সচেঞ্জ হাউজটি শ্রমিকদের দোরগোড়ায় হাজির হয়ে রেমিট্যান্স সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অগ্রণী এক্সচেঞ্জ হাউজ লিমিটেড সিঙ্গাপুরের সিইও ও পরিচালক এ এস এম শরীফুল ইসলাম।
শরীফুল ইসলাম আরো জানান, প্রবাসী শ্রমিকদের দেশে টাকা পাঠানো সহজ করতে ইতোমধ্যে একটি অ্যাপ চালু করেছে হাউজটি যা দিয়ে চাইলে নিমেষেই দেশের বিকাশসহ যে কোনো অ্যাকাউন্টে সহজেই যে কোনো প্রবাসী ঘরে বসে টাকা পাঠাতে পারবেন। অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরসহ অন্যান্য অ্যাপ স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে।
শরীফুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও প্রবাসী ভাইদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। অগ্রণী ব্যাংকের ভাবমূর্তি উজ্জল করতে, রেমিট্যান্স সেবা নিশ্চিত করতে এবং দেশের সেবায় যে কোন দুর্যোগে পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা প্রস্তুত। প্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যুষিত অন্যান্য ডরমেটরিতেও এই সেবা বিস্তৃত করা হবে।
এদিকে, অ্যাপের পাশাপাশি চলমান করোনা সংকটে শ্রমিক ডরমেটরিতে বুথ করে রেমিট্যান্স সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এক্সচেঞ্জ হাউজটি ইতোপূর্বে ঈদের খাবার ও উপহার সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে শ্রমিকদের মাঝে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ নিরাপত্তা সামগ্রী বিতরণ করেছে।