বিশেষ প্রতিবেদক, সিটিজেন নিউজ: আজ শনিবার (২৫ মে) সকাল সাড়ে ১১.৩০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু দু’টি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা সেতু ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন করেছেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।
কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা, গোমতী সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মো. নুরুজ্জামান জানান, নবনির্মিত কাঁচপুর ব্রিজ ইতোমধ্যেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। নতুন দু’টি সেতু চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিশেষ করে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা কিছুটা হলেও আরামদায়ক হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ১৬ মার্চ শীতলক্ষা উপর দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধন করেন। নুরুজ্জামান জানান, জাপানি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওবায়সি কর্পোরেশন, শিমঝু কর্পোরেশন, জেএফএফ কর্পোরেশন ও আইএইচআই ইনফ্রা সিস্টেমস কোম্পানি লিমিটেড ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতীর সঙ্গে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর কাজ শুরু করে।
জানা গেছে, এই তিনটি সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের জাইকা ৬ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পে প্রস্তাবিত ব্যয়ের তুলনায় ১ হাজার কোটি টাকা কম খরচ হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু করে এবং ২০১৯ সালের জুনে কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে।
৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৪শ’ মিটার দীর্ঘ নতুন কাঁচপুর সেতু নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালে শেষ হয়। নতুন কাঁচপুর সেতু পুরোনোটির চেয়ে প্রস্থে ২ মিটার বেশি। কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই পুরোনো সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করেছে।
নুরুজ্জামান বলেন, যথাক্রমে এক হাজার ৭৫০ কোটি ও ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ৯৩০ মিটার মেঘনা ও ১ হাজার ৪১০ মিটার গোমতী সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জনসাধারণের ঈদ যাত্রার সুবিধার্থে ৩১ মে কাঁচপুর সেতুর পূর্বাংশের ওভারপাস খুলে দেওয়া হবে।