সিটি রিপোর্টার: ঢাকা-৫ আসন উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবীদ এবং অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা আর কে চৌধুরীকে দেখতে চায় এলাকাবাসী।
আর কে চৌধুরী ঢাকা সিটি করপোরেশন প্ল্যানিং ডেভোলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও রাজউকের চেয়ারম্যান থাকা কালে এ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তিনি এ এলাকায় দীর্ঘদিন কমিশনার ছিলেন। ঢাকার ডেমরা-যাত্রাবাড়ি ও শ্যামপুরের উন্নয়নের রূপকার হিসেবে এ অঞ্চলে তার তার রয়েছে বেশ সুনাম।
রাজউকের চেয়ারম্যান থাকাকালে আর কে চৌধুরী কমলাপুর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রোডের জমি অধিগ্রহণ ও নির্মাণ, অসংখ্য শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাসহ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করায় ঢাকা-৫ আসনের জনগণ মনে করেন আর কে চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করা হলে বিজয় নিশ্চিত।
ঢাকা-৫ আসনে আর কে চৌধুরী যেসব প্রতিষ্ঠান করেছেন তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে, আর কে চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (সায়েদাবাদ), আর কে চৌধুরী হাইস্কুল (সায়েদাবাদ), আর কে চৌধুরী হাসপাতাল যাত্রাবাড়ী, আর কে চৌধুরী কলেজ ও আর কে চৌধুরী দুস্থ মহিলা সেবাকেন্দ্র (জুরাইন)সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। যাত্রাবাড়ির শহীদ জিয়া স্কুল ও সবুজ বিদ্যাপিট প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তার অবদান রয়েছে।
এছাড়া তিনি সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য রাজধানীর পোস্তগোলায় নিজস্ব জমির উপরে প্রতিষ্ঠা করেছেন আর কে চৌধুরী ইউসেফ স্কুল ও ভাষা প্রদীপ স্কুল। নরসিংদীর আলোকবালিতে বাবার নামে আব্দুল মান্নান চৌধুরী হাইস্কুল। এ ছাড়া তিনি বহু মসজিদ, মাদ্রাসা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।
আর কে চৌধুরী ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের জিএস নির্বাচিত হন। এরপর যাত্রাবাড়ী ও ধানমণ্ডি দুই এলাকা থেকে কমিশনার নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের সময় ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ট্রেজারার। পরবর্তীতে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান; কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব, ঢাকা ক্লাব, এফবিসিসিআই’র সদস্য; বাংলাদেশ ম্যাচ ম্যানুফেকচারার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট; আলোকবালী ইউনিয়ন ও নরসিংদী থানা কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান; ঢাকা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সহ-সভাপতি। আর কে চৌধুরী মহান মুক্তিযুদ্ধে ২ ও ৩ নং সেক্টরের রাজনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বর্তমানে তিনি সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে পত্রপত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখছেন। সমাজ সেবায় এখন তার প্রধান কর্ম।
ঢাকা-৫ আসন উপনির্বাচনের বিষয়ে আর কে চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি পাকিস্তান আমলে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছি। বঙ্গবন্ধুর হাতে আমার রাজনীতির হাত খড়ি। তিনি আমাকে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা বানিয়েছিলেন। আদর করতেন, ভালোবাসতেন। আজীবন তার আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেছি। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তার কন্যার প্রতিটি নির্দেশ যথাযথ ভাবে পালন করেছি। দলের দুর্দিনে জীবনের মায়া ত্যাগ করে আন্দোলন সংগ্রাম সফল করেছি। মিছিল মিটিং করেছি।
তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ নেই। তবে বঙ্গবন্ধু কন্যা যদি দল ও দেশের প্রয়োজনে আমাকে যদি কোনো কাজে লাগান আমি আমৃত্যু সে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবো।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা মারা যাওয়ায় ঢাকা-৫ (ডেমরা-দনিয়া-মাতুয়াইল) সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করেছে সংসদ সচিবালয়।