আজ শুক্রবার রাজধানীর নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাহেদ যে কাজ করেছে শাস্তি তাকে পেতেই হবে। এতে সে যত ক্ষমতাবানই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ সময় সাহেদকে গ্রেফতারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুঁজছে তাকে। তবে তারও উচিত আত্মসমর্পণ করা।
এর আগে, নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ ও করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের প্রধান কার্যালয়, উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয় র্যাব।
সাহেদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে র্যাব। মামলায় কোভিড-১৯ রোগীদের পরীক্ষার প্রতিবেদন নিয়ে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ, জালিয়াতি, ভুয়া রিপোর্ট তৈরি, ভুয়া রিপোর্টকে খাঁটি বলে চালিয়ে দেয়া এবং কোভিড- ১৯ রোগ সংক্রমণ বিস্তারে ভূমিকা রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় সাহেদসহ মোট ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। সাহেদসহ বাকিদের গ্রেফতারেও চেষ্টা চলছে। এদিকে, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাহেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার পুলিশের পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশন বিভাগকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে অনুমোদনহীন টেস্ট কিট ও বেশ কিছু ভুয়া রিপোর্ট পাওয়া যায়। এজন্য রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয় সিলগালা করা হয়। পরে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
জানা গেছে, রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ এসব অপরাধ ও টাকার নিয়ন্ত্রণ করতেন নিজ অফিসে বসে। এই অপকর্মগুলো রিজেন্টের প্রধান কার্যালয় থেকেই হতো বিধায় এটি সিলগালা করা হয়। পাশাপাশি রোগীদের স্থানান্তর করে হাসপাতাল দুটিও সিলগালা করা হয়।