ক্রীড়া প্রতিবেদক : দীর্ঘ চার মাসের অপেক্ষা ফুরাল। ক্রিকেটাররা ফিরলেন আপন ঠিকানায়। দেশের চারটি মাঠে আজ নয় ক্রিকেটার শুরু করেছেন ঐচ্ছিক অনুশীলন।
খুলনার স্থানীয় তিন ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ, মেহেদী হাসান ও কাজী নুরুল হাসান সোহান অনুশীলন করেছেন শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে। সকাল নয়টা থেকে তাদের পৃথক অনুশীলন শুরু হয়। প্রত্যেকে আলাদা আলাদা সময়ে জিম সেশন এবং মাঠে রানিং করেন। তবে ক্রিকেটারদের এদিন ইনডোর ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
সাত সকালে মাঠে আসেন অফ স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান। মাঠে রানিং করেন প্রায় এক ঘণ্টা। এরপর আসেন নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদি মিরাজ। তারা আলাদা ভাবে এক ঘণ্টা করে মাঠে রানিং ও পরে এক ঘণ্টা করে জিমে সময় কাটান। সোহানের সাথে তার ব্যক্তিগত ট্রেনার রাসেলও মাঠে ছিলেন। মাঠে থাকা পুরোটা সময় প্রত্যেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছেন।
বিসিবির কড়া নিয়মকানুনও মেনে চলেছে প্রত্যেকে। ক্রিকেটারদের ট্রেনিং চলাকালীন গ্রাউন্ডস ম্যানদেরও মাঠে থাকতে দেওয়া হয়নি। সংবাদ মাধ্যমকেও ছবি তুলতে হয়েছে গ্যালারি থেকে। কোন ক্রিকেটারের অনুমতি ছিলো না সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার।
বিসিবির সূচি অনুযায়ী মেহেদী হাসান ও নুরুল হাসান সোহানের অনুশীলন করার কথা ছিল। তাতে মেহেদী হাসান মিরাজের নাম ছিলো না। বিসিবিকে ঐচ্ছিক অনুশীলনের আগ্রহের বিষয়টি জানাতে দেরী করে ফেলেছিলেন মিরাজ। এজন্য সূচিতে তার আসেনি। শনিবার সন্ধ্যায় মিরাজ অনুশীলনের আগ্রহ প্রকাশ করে বিসিবিতে মেইল করলে তাকে অনুমতি দেওয়া হয়।
মুঠোফোনে উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, প্রথম দিনটা ভালোই কেটেছে। এর আগে যতটুকু অনুশীলন করেছি সেটা যতটা কাজে লাগবে, এখন কিন্তু আরও বেশী করে কাজে লাগাতে পারবো। নিজ পরিবেশে মাঠে ফেরার তৃপ্তিটা অন্যরকম। আনন্দ লাগছে প্রচণ্ড। মনে হচ্ছে যেন, সব কিছুই যেন ফিরে পাচ্ছি।’
এতদিন পরে অনুশীলনে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত জাতীয় দলের স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ,‘আসলে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। চিরচেনা স্টেডিয়ামে আবারও পা ফেলেছি এজন্য ভালো লাগছে। ক্রিকেট ছেড়ে এতোটা দীর্ঘ সময় আগে পার করিনি। মাঠের খেলা ফিরতে হয়তো এক মাসেরও বেশি সময় লাগবে। এই সময়টাতে আমাদের মূল লক্ষ্য হবে নিজের ফিটনেস, স্কিল, মানসিকভাবে নিজেদের ফিট করা। আশা করছি এই সময়টাতে সেটা করে ফেলতে পারবো।’