নিজস্ব প্রতিবেদক: চাহিদা মেটাতে করোনাকালীন অর্থনীতিতে বাড়ছে নতুন টাকার সরবরাহ। এ প্রক্রিয়ায় আগস্টের মধ্যে ৫৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ধারণ করবে দেশের বাজার ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ ব্যাংক এর ৮২ শতাংশ বা ৪৫ হাজার কোটি টাকাই সরবরাহ করছে রি-ইস্যুর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
আগের পুরোনো বা ব্যবহার অযোগ্য টাকা ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে তুলে নিয়ে ওই টাকা অভিন্ন নম্বরেই নতুনভাবে পুনর্মুদ্রণ বা পুনঃস্থাপন প্রক্রিয়াই হলো রি-ইস্যু উদ্যোগ।
বাকি ১৮ শতাংশের (১০ হাজার কোটি) সংযোজন ঘটতে চলেছে করোনাকালীন সংকটে পড়া অর্থনীতির অতিরিক্ত তারল্যের চাহিদা মোটাতে।
এর উদ্দেশ্য হলো ব্যাংক ব্যবস্থায় নগদ টাকার সরবরাহ বাড়িয়ে তারল্য পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল রাখা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা পরিচালন বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
দেশে করোনা সংকট দীর্ঘায়িত হতে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন লেনদেনের একমাত্র মাধ্যম টাকা ধারণ ও হাতবদলের ঝুঁকিও প্রবল হয়ে উঠছে। টাকার হাতবদল কেন্দ্রিক এ ঝুঁকি কমাতেই বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি বছরের মে থেকে পর্যায়ক্রমে পুরনো টাকা তুলে নিয়ে নতুন টাকার সরবরাহ বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে।
সূত্র জানিয়েছে, বড় পরিসরে নতুন টাকা ছাড়ার এ উদ্যোগ জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
ঈদ উপলক্ষে সাধারণত নতুন টাকার সরবরাহ বেশি করা হয়। এ বছর রোজা ও কোরবানি দুইটি ঈদই এ করোনার মধ্যে পড়ে গেছে। সেজন্যই নতুন টাকা সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র আরো জানায়, করোনা নতুন টাকা সরবরাহে নেপথ্য কারণগুলোর একটি। যে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক এবার নতুন টাকা একটু বেশিই সবরাহ দিচ্ছে।