এম পারভেজ: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্র, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এ্যাড. সাহারা খাতুনের মৃত্যুর পর ঢাকা-১৮ আসনের অভিভাবক নির্ধারণে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের ঐক্যমতের প্রয়োজনের বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন সরদার বেলায়েত হোসেন মুকুল।
তিনি বলেন মরহুম এ্যাড. সাহারা খাতুন ছিলেন আমাদের একজন অভিভাবক, তার মৃত্যুতে ঢাকা-১৮ আসন শূন্য হয়েছে। যেহেতু সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন করতে হয় সেহেতু এখন থেকেই আমরা সকল রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হয়ে শূন্য এই আসনের স্থানীয় অভিভাবক নির্ধারণ করবো ইনশাল্লাহ্। সরদার মুকুল ১৯৭৫ এর পর ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। তৎকালীন জাসদের গণবাহিনী কর্তৃক মৃত্যু পরোয়ানা, অন্য দিকে সামরিক শাসক জিয়ার রোষালনে বার বার জেলের অন্ধকার প্রকষ্টে নিক্ষিপ্ত, সৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও ৯১ সালে খালেদা জিয়া কর্তৃক আবারো কারা বরণ, ৯৬ এর আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকায় জনতার মঞ্চসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন তিনি।
সরদার বেলায়েত হোসেন মুকুল ১৯৯৩-২০০০ সাল পর্যন্ত ঢাকা মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের ০৭টি থানা নিয়ে ঢাকা-১৮ আসন গঠিত। থানা গুলোতে রয়েছে অভিজ্ঞ, মেধাবী ও প্রবীন রাজনীতিবীদ, এদের মধ্যে খিলক্ষেত থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি- কেরামত আলী দেওয়ান, ঢাকা মগানগর উত্তর আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- আলহাজ্ব হাবীব হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তরের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক- বীর মুক্তযোদ্ধা তোয়াজ্জল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি- মোঃ নাজিম উদ্দিন, উত্তরখান থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি- মোঃ কামাল উদ্দিন, দক্ষিণখান থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি- এ্যাড. আবু হানিফ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক- এস.এম মাহাবুব সহ তুরাগ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি- মোঃ আবুল হাসেম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর- আলহাজ্ব আফসার উদ্দিন খাঁন, উত্তরখান থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ৪৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল- শফিকুল ইসলাম, উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি- মোঃ কুতুব উদ্দিন, ঢাকা মহানগ উত্তর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি- মফিজ উদ্দিন বেপারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাঈদুর রহমান সরকার, ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার সহ সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদেরকে ঢাকা-১৮ আসনের আগামীদিনের অভিভাবক নির্ণয় করতে হবে। তিনি আরও বলেন তৃণমুল নেতাকর্মীদের বিশ্বাস এই আসনের নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে সকল সিনিয়র নেত্রীবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হলে আমরা আমাদের অভিভাবক নির্ধারণ করতে পারব। অন্যথায় আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছতে পারবো না।