নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আশ্রয়কেন্দ্র খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম ধাপে নির্মিত ১৯টি ভবনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রাথমিকভাবে ৬০০ পরিবারের কাছে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের মাধ্যমে এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান। এর মাধ্যমে সমুদ্রদ্বীপ কুতুবদিয়া ও পাশের মহেশখালীতে ১৯৯১ সালে সাগরজলে ভিটেমাটি হারানো জলবায়ু উদ্বাস্তু মানুষ মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলো।
খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে’র আওতায় ৪৪৪৮টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবার পুনর্বাসন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে প্রাথমিকভাবে ৬০০ পরিবারের কাছে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অত্যাধুনিক ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেন। জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবার পুনর্বাসন বিশ্বে এটিই প্রথম।
খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫৩.৫৯ একর জমিতে ১৮০০.৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫তলা বিশিষ্ট ১৩৯টি ভবন নির্মাণ করার মাধ্যমে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনে বিশ্বে এক অনন্য নজির স্থাপন করছেন।
কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ অগ্রাধিকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্প। এ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১৯টি পাঁচতলা ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়। সেখানে বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জলবায়ু উদ্বাস্তু ৬০০ পরিবার পাচ্ছে নতুন ফ্ল্যাট। প্রতিটি ভবনে ৩২টি করে পরিবার থাকবে।
কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের বাঁকখালী নদীর তীর ঘেঁষা বৃহৎ এ প্রকল্পে পর্যায়ক্রমে ৪ হাজার ৪৪৮টি পরিবার পাচ্ছে নির্মিত ফ্ল্যাট। আজ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এর উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধন শেষে উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হবে ফ্ল্যাটের চাবি।