হুমায়ুন কবির: ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রসী হামলার শিকার হয়ে থানায় মামলা করার ১৮ দিন পার হলেও আসামীদের গ্রেপ্তার করছেনা থানা পুলিশ। অথচ আসামীরা পুলিশের সামনেই ঘুরাফেরা করছে এবং ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বাদীকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে নিয়মিত। এদিকে থানার ভারপ্রাপÍ কর্মকর্তা (ওসি) নিজেই আসামীদের পক্ষ নিয়ে মিউচুয়ালের পরামর্শ দিচ্ছেন বলে অবিযোগ আনেছেন মামলার বাদী মাই টিভির ভোলা জেলা দক্ষিন প্রতিনিধি সাংবাদিক সিরাজ মাসুদ।
জানা যায়, গত ২০ই জুলাই চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া ঘাটের দক্ষিন পাশ্বে বেড়ীবাঁধ নতুন সুলিজ এলাকায় অবৈধভাবে গলদা ও বাগদা চিংড়ি মাছের রেনু আহরন করে পাচারকারীদের তথ্য সঙগ্রহ করতে গিয়ে দেখেন ১৬ টি ড্রাম ভর্তি গলদা ও বাগদা চিংড়ি পাঁচার করার উদ্দ্যেশ্যে ট্রাকে তুলতেছে যার নং বরিশাল মেট্রো ল-১১-০৪৯৫। চিংড়ির রেনুভর্তি ট্রাকের ছবি তুলতে গেলে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী থেকে চিংড়ীর রেনু পাচারকারী চক্রের মুল হোতা লুতফর রহমান দেওয়ানের নের্তৃত্বে রাসেল, রুবেল, নুরনবী, ছিদ্দিক মাঝি, জিহাদ, হযরত আলী দেওয়ান, মনোয়ার দেওয়ান, মো. নসু সহ আরো অনেকে সাংবাদিকদের উপর হামলা করে । এত মাই টিভির ভোলা জেলা দক্ষিন প্রতিনিধি সিরাজ মাসুদসহ চার সংবাদ কর্মী আহত হন এবং তাদের ব্যাবহত মাইক্রোবাস ভাঙ্গচুর করে। সন্ত্রসীরা সাংবাদিকদের সাথে থাকা একটি পেনাসোনিক ভিডিও ক্যামেরা, একটি ডিএসএলার, একটি ল্যাপটপ নিয়ে যায়। এসময় নারী সংবাদ কর্মী কামরুন্নাহার শীলার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে এবং তার গলা থেকে স্বর্নের চেইন নিয়ে যায়।
সংবাদকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় গত ২২ই জুলাই মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেপ্তার করেনি চরফ্যাশন থানা পুলিশ। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে থানা পুলিশকে মেনেজ করা হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাযায়। এদিকে আসামীরা থানা পুলিশ নিজেদের দাবীকরে গাম্ভির্যের সাথে সাংবাদিককে বলছেন পারলে আমাদের গ্রেপ্তার করে দেখা।
বিষয়টি নিয়ে চফ্যাশন থানার অফিসার ইনসাজ (ওসি) শামসুল আরেফিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আসামীদের গ্রেপ্তারের চেস্টা চলছে। অতি শীগ্রই আসামীদের গ্রেপ্তার করা হবে।