জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: ভাদ্র মাসে দীর্ঘমেয়াদি বন্যা হতে পারে- এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১০ আগস্ট) মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে বন্যা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। কয়েক দিন থেকে বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে। আজকে যমুনা নদীর পানি বঙ্গবন্ধু ব্রিজের ওখানে অলরেডি বিপৎসীমার বেশ নিচে চলে গেছে। পদ্মা নদীর পানিও কমেছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগের প্রেডিকশন (অনুমান) আছে যে, আরো বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী পার্টিকুলারলি (নির্দিষ্টভাবে) এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন। প্রস্তুত থাকতে হবে, একটা লং টার্ম (দীর্ঘমেয়াদি) বন্যা হতে পারে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘উনি (প্রধানমন্ত্রী) বিশেষ করে সতর্ক করলেন, ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি যদি কোনো বন্যা আসে তাহলে সেটা কিন্তু লং টাইমে প্রিভেইল (দীর্ঘ মেয়াদে থাকার) করার আশঙ্কা থাকে। সুতরাং আমাদের প্রস্তুতিটা রাখতে হবে।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য আলাদা ম্যাসিভ এগ্রিকালচারাল রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রাম আছে। প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন যে, আমনের বীজ যেহেতু নষ্ট হয়ে গেছে, এজন্য একটু উঁচু জায়গায় বীজতলা করার জন্য। কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, তারা যে নতুন জাত আবিষ্কার করেছেন, সেটা ১৫ দিন পানির নিচে থাকলেও নষ্ট হবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রোপা আমনের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে বলেছেন। রোপা আমন ঠিকভাবে না হলে আমাদের (সর্টেজ) ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। সর্টেজ একচুয়ালি হবে না গতবারের তুলনায়। গতবার আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ লাখ টন, এবার লক্ষ্যমাত্রা ৩৬ লাখ টন। সেই তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে। তবে গতবারের তুলনায় উৎপাদন বেশি হবে আশা করা যাচ্ছে।’
মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রিসভার সদস্যরা অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী সভায় সভাপতিত্ব করেন।