শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২১ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান চায় জাতিসংঘ

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০
  • ১৮৭ বার পঠিত

 
নিউজ ডেস্ক: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চাইলো জাতিসংঘ
মিয়ানমারসহ অন্যান্য দেশে অবস্থানরত ‘বাস্তুচ্যুত’ ও ‘রাষ্ট্রহীন’ রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য বিশ্বকে আবারও সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। করোনাভাইরাসের কারণে রোহিঙ্গা সংকট আরও জটিল হওয়ায় বিষয়টি সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

ইউএনএইচসিআর শুক্রবার (২১ আগস্ট) এ বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, ‘রোহিঙ্গাদের হিসেবে তাদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আজ মিয়ানমারের বাইরে রয়েছে। ইউএনএইচসিআর ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ নিবন্ধন অনুযায়ী কক্সবাজারে অবস্থান করছে প্রায় আট লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গা।

ইউএনএইচসিআর জানায়, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। এর তিন বছর পর আজও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে ও নতুন অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিকে করেছে আরও জটিল। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় বাংলাদেশিদের সাহায্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত পরিবর্তিত পরিস্থিতির নতুন চাহিদাগুলো মেটানো এবং সংকট সমাধানের লক্ষে আরও বেশি কাজ চালিয়ে যাওয়া।

বাংলাদেশের প্রশংসা করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশ মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে। বাংলাদেশ তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে, জীবন রক্ষাকারী মানবিক সাহায্যের ব্যবস্থা করেছে। আজ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিবন্ধিত প্রতি ১০ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ৯ জন বাস করে বাংলাদেশে। এ মহানুভবতার প্রতিদান হিসেবে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশি জনগণের জন্য নিরন্তর সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।

ইউএনএইচসিআর জানায়, রোহিঙ্গা সংকটের পরিপূর্ণ সমাধান রয়েছে মিয়ানমারে। রাখাইন রাজ্যবিষয়ক পরামর্শক কমিশনের সব সুপারিশ পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এটি সম্ভব; আর মিয়ানমার সরকারও সেটি করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে প্রয়োজন সর্বস্তরের অংশগ্রহণ, মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে নতুন করে কার্যকরী আলোচনা শুরু করা। এর পাশাপাশি দুই পক্ষের মধ্যে আস্থা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া। এসবের জন্য প্রয়োজন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের চলাফেরার ওপর বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ গ্রামে ফেরার সুব্যবস্থা এবং রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা তৈরি করা।

সংস্থাটি তার বিবৃতিতে বলেছে, ‘শুধু মিয়ানমারের বাইরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করাই নয়, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার আরেকটি লক্ষ্য হওয়া উচিত রোহিঙ্গাদের আশানুযায়ী তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। সে জন্য শুধু মিয়ানমারে স্থায়ী সমাধানের জন্য নয়, আশ্রয় প্রদানকারী দেশের বাইরে তাদের শিক্ষা ও কাজের সুযোগ সৃষ্টি এবং সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা শরণার্থীদের তৃতীয় কোনো দেশে পুনর্বাসনের ব্যবস্থার জন্য আরও কাজ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com